মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী বলেন,রাজ্যের এবং রাজ্যবাসীর এই কঠিন সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকাটা উচিত হয়নি। এর থেকে স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের এই পরিস্থিতিকে সেইভাবে গুরুত্ব দেননি।
বুধবার বিধানসভার শুরুতেই কংগ্রেস দলের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির বিষয়টি উত্থাপন করেন।তিনি বলেন, রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যা যতটা ভয়াবহ, তার চাইতে বেশি ভয়ঙ্কর বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি।এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী যে কাজে দিল্লী গেছেন, আমার অভিমত রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি এর চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য সরকারের শীর্ষ কোনও আমলাকে পাঠাতে পারতেন।সুদীপবাবু আরও বলেন, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন।কিন্তু সেই সর্বদলীয় বৈঠকে মন্ত্রিসভার অন্য কোনও সদস্য ছিলেন না।ফলে সর্বদলীয় বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, ট্রেজারি বেঞ্চের অন্য কেউ সেটা বলতে পারবে না। সর্বদলীয় বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই যাতে আলোচনা হয়। অথচ আজ তিনি নেই।ফলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে যে আলোচনা হবে, সেটা লোক দেখানো আলোচনা হবে।
এরপর প্রায় একই সুরে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীও।তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কাজেই হয়ত দিল্লী গেছেন।কিন্তু কোন্ কাজটা এই সময়ে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বুঝতে হবে। বন্যায় রাজ্যের যে পরিস্থিতি, তা নিয়ে বিস্তারিত যে তথ্য রয়েছে সেটা মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারবেন। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকাটা একদমই উচিত হয়নি। এই থেকে স্পষ্ট রাজ্যের এই ভয়ানক অবস্থাকে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বই দেননি।তিনি অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান, মুখ্যমন্ত্রী কবে আসবেন?যদি অধিবেশন চলাকালীন সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আসেন, তাহলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তখনই আলোচনা করার দাবি জানান।জবাবে, অধ্যক্ষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কবে আসবেন সেটা অনিশ্চিত। ফলে এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এরপরও বিরোধীরা এই বিষয়ে কথা বলতে থাকলে অধ্যক্ষ আর সুযোগ দেননি।