মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডির বিরুদ্ধে সুদীপের বিস্ফোরক অভিযোগ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার ৭২ বছরের পুনর্বাসনপ্রাপ্ত ওএসডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। ওএসডির নাম না করলেও শ্রী বর্মণ কার উদ্দেশে এই বিস্ফোরক অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তা বুঝতে কারও বাকি নেই। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কংগ্রেস বিধায়ক শ্রী বর্মণ তার নিযুক্ত ওএসডির বিরুদ্ধে সরাসরি কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন। সুদীপবাবু আরও বলেন, ওই ওএসডির নাম নাকি ‘ফোর টু সিক্স পার্সেন্ট’ পড়ে গেছে। এই নামেই নাকি এখন তিনি সকলের কাছে পরিচিত।বিধায়করা দেখা করতে পারেন না, কেননা ওএসডি প্রায়ই ঠিকাদারদের সাথে গোপন বৈঠকে ব্যস্ত থাকেন।এদিন বিধানসভায় বিধায়ক শ্রী বর্মণ রাজ্যে বেকার সমস্যা সম্পর্কিত একটি জরুরি জনস্বার্থ বিষয়ক প্রশ্ন উত্থাপন করে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি সম্পর্কে এই বিস্ফোরক অভিযোগগুলি তোলেন।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে হাজার হাজার যোগ্যতাসম্পন্ন বেকার থাকা সত্ত্বেও একজন অবসরপ্রাপ্ত ৭২ বছরের ব্যক্তিকে (আমলা) ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে।যিনি প্রতি মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকা করে বেতন পাচ্ছেন। আর ওই পদে বসে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে নানা ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ করে চলেছেন বলে অভিযোগ তুলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শ্রী বর্মণ বলেন, আপনি ভালো মানুষ, আপনি হয়তো জানেনই না। আপনি নড়েচড়ে বসুন। আপনি বিশ্বাস করে ওই পদে বসিয়েছেন। কিন্তু আপনাকে শেষ করে দিচ্ছে। আপনাকে কালিমালিপ্ত করছে। এটা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেই মনে করি। আলোচনা করতে গিয়ে শ্রী বর্মণ এদিন
ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্তি এবং তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। একজন এসপি র্যাঙ্কের আর্মি অফিসার কীভাবে ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন?এ নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন শ্রী বর্মণ। তিনি বলেন, খবরে প্রকাশ, ওই চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পর্যন্ত মানছেন না।এমন আরও বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক।সবথেকে বিস্ময়ের ঘটনা হলো, সুদীপ রায় বর্মণ যখন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তার নিযুক্ত ওএসডিকে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন ট্রেজারি বেঞ্চের অর্থাৎ শাসক দলের একজনকেও দেখা গেল না, এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে। যদিও পরবর্তীকালে শাসক দলের বিধায়ক কিশোর বর্মণ উত্থাপিত প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ বর্মণকে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করলে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে রণে ভঙ্গ দেন। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি সম্পর্কে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে বিভিন্ন মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।