দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি,আগরতলা।। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার পরেও বিপ্লব কুমার দেবের জনপ্রিয়তায় চিড় ধরেনি। উপরন্তু সাধারন নাগরিক এবং কার্যকর্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করছে। এমনই দৃশ্য দেখা গেল শনিবার। এদিন বিলোনীয়া বড়পাথরী থেকে ফেরার পথে মির্জা দলীয় কার্যালয় পরিদর্শনে যান বিপ্লব কুমার দেব। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী না হওয়া সত্ত্বেও মাত্র অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরতেই দলে দলে সাধারণ মানুষ জড়ো হতে থাকে মির্জায়।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী মির্জা কমিউনিটি হলে, সাক্ষাৎ উৎসুক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মানুষের ভিড়ে অপ্রস্তুত পরিবেশে এই সাক্ষাৎ পর্ব পরোক্ষে রূপ নেয় হল সভায়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, একটা সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে দক্ষিণ জেলায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মানুষের প্রাণ পর্যন্ত গেছে। নাম না করে প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যার নেতৃত্বে দক্ষিণ জেলায় এই রাজনৈতিক পরিবেশ কায়েম করা হয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগে তিনি জেল খেটেছেন।
এমন আরও দুর্নীতি গ্রস্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যের মানুষের সামনে তাদের প্রকৃত চেহারা বেড়িয়ে এসেছে। গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ বিপন্ন করে রাখা হয়েছিল এই অঞ্চলগুলোতে। কিন্তু বর্তমান সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দৃষ্টান্ত নেই। সমস্ত রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সকল স্তরের নাগরিকদের মধ্যে, কেন্দ্র-রাজ্য সমস্ত প্রকল্পের সুফল পৌঁছে যাচ্ছে। নিয়োগ নীতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের সুবিধা বণ্টনে স্বচ্ছতাই এই সরকারের অন্যতম প্রাধান্য। কিন্তু বিগত দিনে যারাই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের কাউকে ছাড়া হবে না বলে মন্তব্য করেন।
এদিন তিনি আরও বলেন, তৎকালীন একাংশ কংগ্রেস নেতার সংকীর্ণ স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিরোধী সমর্থকদের স্বপ্ন বিক্রি হয়েছে খুব সস্তায়। সামনে বিরোধের নাটক মঞ্চস্থ করলেও পেছনের দরজায় তৎকালীন শাসকের সঙ্গে ছিল তাদের গোপন বোঝাপড়া। কিন্তু সর্বশেষ বিধানসভা উপ নির্বাচনে বাম কংগ্রেস এর গোপন মিতালী প্রায় জনসমক্ষে উঠে এসেছে। তথাকথিত বাম বিরোধীদের মুখোশও খসে পড়েছে। তারা কখনোই রাজ্যের মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবং তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এর নেতৃত্বে ত্রিপুরায় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।
যারা রাতের আধারে ত্রিপুরার মানুষের স্বপ্নকে সস্তা দরে বিক্রি করেছে, তারাই ভারতীয় জনতা পার্টির ভেতরে এসে দল বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড যখন জনসম্মুখে উন্মোচিত তখন তারা বিভিন্ন কৌশলে পুনরায় লোক ঠকানোর জন্য উদগ্রীব হচ্ছে। বিপ্লব কুমার দেব বলেন কার্যকর্তা এবং পৃষ্ঠা প্রমুখরাই সংগঠনের প্রাণশক্তি, মূল সম্পদ। তাদের ঐকান্তিক ও নিরলস নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টার ফলেই ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরার ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে, কর্মীদের বার্তাদেন তিনি।
এর আগে, বড়পাথরী সফরের মাঝে রাজনগর মন্ডল কার্যালয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যালয় পরিদর্শন করেন। কথা বলেন বিভিন্ন পদাধিকারী ও কর্যকর্তাদের সাথে। সব শেষে নির্ময়মান কাঁকড়াবন -শালগড়া মন্ডল কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানেও কার্যকর্তাদের সাথে কথা বলেন। শ্রী দেবের উপস্থিতি ঘিরে সব জায়গাতেই ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…
অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…
রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…