মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতায় চাকরি বঞ্চিত বেকাররা : হিমন্থরাজ।
অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যের বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্যে বেকারের চাকরি বন্ধ ত্রিপুরায়। ফলে রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক- যুবতীরা চাকরির সন্ধানে বহিঃরাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছে। তবে বহুক্ষেত্রে বহিঃরাজ্যে গিয়েও তাদের চাকরি হচ্ছে না।এতে করে রাজ্যের বেকার ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সোমবার ঠিক এভাবেই বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন ডিওয়াই এফআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্ন রাজ ভট্টাচার্য।সোমবার মেলারমাঠ ছাত্র যুবভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার অভিযোগ বিজেপি সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্যেই মায়ের বুক খালি হচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের তিন যুবক বক্সনগর কুলুবাড়ি অজয় নমঃ, দক্ষিণ চড়িলামের রাকেশ নম:, উৎপল নমঃ বহিঃরাজ্যে কাজের সন্ধানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হলো। ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে এরকম আরও বহু ঘটনা হয়েছে।তবে অবাক করার বিষয় হলো রাজ্য সরকার ও বিজেপি দলের নেতারা এই পরিবারগুলির কোনও খোঁজ খবর নিলো না। শুধু তাই নয়, বক্সনগরের নিহত যুবক অজয় নমঃ মৃতদেহ তার বাসভবনে আনা হবে বলেও প্রচার করেছিল বিজেপি। তবে মৃত যুবককে রাজ্যে আনার জন্যে কোন ধরনের আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন বিজেপি। অথচ নিহত যুবক ও তার পরিবারকে নিয়ে রাজ্যব্যাপী বিজেপি দল বিজ্ঞাপন করে গিয়েছে।শ্রীভট্টাচার্যের দাবি প্রয়াত সিপিএম বিধায়ক সামসুল হক এই পরিবারের পাশে ছিলেন বলেই মৃত যুবকের দেহ রাজ্যে এসেছে। সর্বক্ষেত্রে এরকমই হচ্ছে। তার অভিযোগ বিজেপি দল বেকার বিরোধী।তাই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কাজে সন্ধানে দক্ষিণ ভারতে এবং পশ্চিম বাংলায় যেতে হচ্ছে। এমনকী শিক্ষিত যুবক যুবতীরা দিন মজুরের কাজ করতে আসামে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ৫০ হাজার সরকারী চাকরি প্রদান করা হবে। পাঁচ বছরে রাজ্যের ২ লক্ষ ২৫ হাজার বেকারের সরকারী চাকরি হওয়ার কথা। বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল সাড়ে সাত লক্ষ বেকার সবার ঘরে ঘরে রোজগার প্রদান করা হবে। মিস কল দিলেও নাকি ত্রিপুরায় চাকরি হবে। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ এবং ২৩ সালে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একইভাবে বছরে ২ কোটি বেকারের সরকারী চাকরি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি দল। কিন্তু ক্ষমতায় বসে বেকারের চাকরি দরজাই বন্ধ করে দিয়েছে। আবার বিজেপি সরকারের আমলে চাকরি হলে তা হয় ঠিকাদারদের অধীনে, ন্যূনতম মজুরিতে বেকারের ঠিকা চাকরি। আর এসব চাকরিকেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রচার করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের সরকার হলো বিজেপি।তবে রাজ্য সহ দেশে বেকার যুব সমাজ বুঝে গিয়েছেন বিজেপি বিশ্বাস ঘাতক । তাই এখন এদের বিদায় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। রাজ্যের উপজাতি যুব সমাজেরও সর্বক্ষেত্রে ক্ষতি করেছে বিজেপি। তিনি মণিপুর ইস্যুতে বিজেপির সরকারের ভূমিকারও তীব্র নিন্দা জানান। তার মতে বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা উচিত।
ডিওয়াই এফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেবের অভিযোগ রাজ্যের ক্রীড়া সংস্থাগুলিও বিজেপি সমাজ দ্রোহীদের কাছে চলে গিয়েছে । শুধুমাত্র অর্থ লুটপাটের জন্য। তাই ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে এসব হচ্ছে। রাজ্যের ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।এই দুর্নীতির জন্যই ২০১৬ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের হাতে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ময়দানের এখনও শেষ হয়নি। এদিকে রাজ্যের খ্যাতনামা ক্রিকেটার তিমির চন্দর উপর হামলা ও টিসিএর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডিওয়াই এফআই।কুমুদ দেববর্মা, পলাশ ভৌমিক,কৌশিক রায় দেববর্মা প্রমুখ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।এদিকে আজ প্রয়াত যুবকদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের অভিভাবকদের সাথে দেখা করেন
অভিভাবকদের সাথে দেখা করেন ডিওয়াইএফআইর সর্বভারতীয় সম্পাদক হীমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব, সভাপতি পলাশ ভৌমিক, রাজ্য নেতৃত্ব সঞ্জয় দাস, ইন্দ্ৰজি সাহা, মহঃসেলিম প্রমুখ।