মুখ ছাড়াই হিমাচলে লড়াইয়ে বিজেপি!!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। হিমাচল প্রদেশে জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচন গেরুয়া শিবিরের কাছে খানিকটা ব্যতিক্রমী। এবার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কাউকে সামনে না রেখেই বিধানসভার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা থেকে বিরত থেকেছে দল। হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে সব থেকে বড় বিষয় হল, ১৯৮৫ সাল থেকে পাহাড়ি এই রাজ্যে কোনও সরকার দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসেনি। কিন্তু বিজেপি মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্যারিশমা দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আনবে বিজেপিকে। প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিশমা এখনও কাজ করছে। তাতে ভর করেই দ্বিতীয়বার নির্বাচনী জয় হাসিল করতে পারবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। ২০১৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে ক্লোজ ফাইট ছিল বিজেপির। ৬৮ টি আসনের মধ্যে গেরুয়া শিবির ৪৩ টিতে জয় পেলেও, ২০ টি আসনে জয় পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ৩ হাজার ভোটের কম। আর ছটি আসনে তা ছিল ১ হাজারের কম।
বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় প্রশ্ন উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর নাম নিয়ে। সেই সময় অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, এব্যাপারে যথা সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে অনুরাগ ঠাকুর বিজেপির হাইকমান্ডের যথেষ্টই কাছের। যিনি কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলাচ্ছেন।
হিমাচল প্রদেশে দু-দফায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই অসন্তোষ দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বেশ কয়েকজনের নাম প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু তা মানা হয়নি। যে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ।
এবার বিজেপি প্রেম কুমার ধুমল কিংবা সাতবারের বিধায়ক গুলাব সিং ঠাকুরকে মনোনয়ন দেয়নি। গুলাব সিং ঠাকুর সম্পর্কে অনুরাগের শ্বশুর। এখানে পরিবারবাদের কথা উঠে আসতে পারে, তাই মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল।