মূত্র ও ঘাম থেকে মহাকাশে পানীয় জল, নয়া মাইলফলক স্পর্শ নাসার

 মূত্র ও ঘাম থেকে মহাকাশে পানীয় জল, নয়া মাইলফলক স্পর্শ নাসার
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন || শুনতে বিষয়টা খুবই যেতে গা-ঘিনঘিনে ! কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির পটচিত্রে দেখলে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। মানুষের মূত্র ও গায়ের ঘাম দিয়ে এর মহাকাশে পানীয় জল তৈরি করে ফেললেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা যায় সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। কার্যত অসাধ্যসাধন করে নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং জীবন সুরক্ষা পদ্ধতি (ইসিএলএসএস) ব্যবহার করে মানুষের শরীর থেকে নিঃসৃত তরল বর্জ্য থেকে ৯৮ শতাংশ শুদ্ধ পানীয় জল তারা নিষ্কাশন করতে পেরেছেন। এই পদ্ধতিতে আগামী দিনে খাবার, জল এবং বাতাসও পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলার চেষ্টা চলছে। এই সাফল্যকে নতুন এক মাইলফলক হিসাবে দেখছে নাসা। মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে তৈরি করা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিরন্তর জলের সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সবই পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যেতে হয় মকাশচারীদের। আইএসএস হল মহাকাশে ভাসমান একটি স্টেশন, যা পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। ভূপৃষ্ঠ মাধ্য থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় সারা এর অবস্থান। রাতের আকাশে পৃথিবী এখন থেকে এই মহাকাশ স্টেশনকে দেখা যায় ভাসমান একটি আলোর বিন্দুর তাি মতো।
এই স্টেশনে নাসার মহাকাশ্চারীরা নানা গবেষণার কাজে নিযুক্ত। আইএসএস-র মহাকাশচারীদের এক- একজনের এক দিনে এক গ্যালন শুদ্ধ জল প্রয়োজন হয়। পান করা ছাড়াও শারীরিক ক্রিয়া, খাবার তৈরি এবং অন্যান্য প্রয়োজনে এই জল কাজে লাগান তারা। এই আবিষ্কারের পর নাসা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) জলের চাহিদা মেটাতে মহাকাশচারীদের প্রস্রাব ও গায়ের ঘাম থেকেই এরপর থেকে তৈরি হবে পানীয় জল। সেই জল এমনই পুষ্টিগুনের ও সুস্বাদু হবে
যে ঢকঢক করে খেয়ে তৃপ্তি পাবেন নভশ্চররা। সর্বোপরি সেখানে মাধ্যাকর্ষণও নেই। মহাকাশচারীদের সারা দিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে এখন তাই স্পেস স্টেশনের ভেতরেই ফসল ফলাচ্ছে নাসা। এবার খাদ্য- তালিকায় জুড়ল পানীয় জল। ঘাম এবং মূত্র থেকে পান করার যোগ্য জল বার করতে পেরেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা (ছবি)। শারীরিক বর্জ্য থেকে পানীয় জল নিষ্কাশনের ফলে আগামী দিনে মহাকাশের একাধিক অভিযানে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, মহাকাশে কোনও কিছুই ফেলার নয়। এমন শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পৃথিবীর মতো বিলাসিতা সেখানে চলে না। তাই সব কিছুকেই রিসাইকেল করতে হবে। প্রস্রাব, গায়ের ঘামও যে আর বাদ যাবে না, বরং তা দিয়ে কিছুটা হলেও জলের চাহিদা মিটবে সেটাই দেখিয়ে দিলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.