মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, গ্যাস নিয়ে দায় ঝাড়ল টিএনজিসিএল!!

 মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, গ্যাস নিয়ে দায় ঝাড়ল টিএনজিসিএল!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-গ্যাসের
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেললো টিএনজিসিএল।রবিবার অল ত্রিপুরা ন্যাচারল গ্যাস (পিএনজি) কর্মাশিয়াল কনসিউমার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টিএনজিসিএলের এমডির সাথে বৈঠক করে।সংগঠনের প্রতিনিধি দল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো সরব হন তার সামনে। তারা তাদের দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি এমডির হাতে তুলে দেন।সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এমডি তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গ্যাসের মূল্য নির্ধারন করে গেইল অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার। আর গ্যাসের উপর কর নেয় রাজ্য সরকার।তাই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই। গ্যাসের মূল্য বর্তমানে একমাত্র কমাতে পারে রাজ্য সরকার। সরকার ত্রিপুরা রোড ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স ও ভ্যাট ট্যাক্স কমিয়ে দিলে তাহলে টিএনজিসিএল পুরোপুরি এই ২৪ শতাংশ (ট্যাক্স) কমিয়ে দেবেন। সংগঠন কর্তাদের এমডি আরও জানান, বর্তমানে যে ৫০ পয়সা গ্যাসের ইউনিট প্রতি বৃদ্ধি করা হয়েছে তাতেও তাদের নাকি কোনও হাত নেই।সবটাই হচ্ছে গেইলের কারণে এমডি তাদের আরও জানান, দেশের অন্য কোনও রাজ্যে রোড ডেভেলাপমেন্ট ট্যাক্স দিতে হয় না। শুধুমাত্র ত্রিপুরাতেই ১৯.৫% রোড ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাট সহ রাজ্য সরকারকে ২৪.৫ শতাংশ কর দিতে হয় তাদের।এমডির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংগঠন কর্মকর্তারা উস্মা ব্যক্ত করেন।এই অবস্থায় আগামী ৬ ডিসেম্বর সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে।সভায় পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে।সংগঠনের এই কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্য মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।গোটা বিষয়টি রয়েছে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী টেবিলে। সংগঠন কর্তারা জানান, তাদের বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছে না তারা। অনেক চেষ্টার পরও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারছেন না তারা।
এদিকে ভোক্তা সাধারণের বক্তব্য, বছরে দুই তিনবার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের উপর চাপ তৈরি করা এই সংস্থার নিয়মাফিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তুলনায় ভোক্তাদের জন্য পরিষেবা নেই। দেড়শো শতাংশ মুনাফাকারী এই সংস্থা গত চৌত্রিশ বছরে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন গ্যাস প্রকল্প মাত্র ৬২ হাজার গ্রাহক করতে পেরেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.