মৃত্যুর’পরে বেঁচে উঠে অভিজ্ঞতা শোনালেন মার্কিন লেখিকা!!

 মৃত্যুর’পরে বেঁচে উঠে অভিজ্ঞতা শোনালেন মার্কিন লেখিকা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- কাদম্বিনীকে মরে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে তিনি মরেননি।কিন্তু বছর বিয়াল্লিশের মার্কিন লেখিকা লরেন ক্যানাডে-কে সেই পথ বেছে নিতে হয়নি। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে নিজের পুনর্জন্মের কাহিনি শেয়ার করেছেন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেশায় লেখিকা লরেন।সেখানে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে, পাশের মনিটরের রেখা নিশ্চল হয়ে পড়লে চিকিৎসকেরা তার পরিজনদের সামনে রোগীকে ‘মৃত’- বলে ঘোষণা করেন।আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে কান্না শুরু হয়।কয়েক জন লেখকদের মধ্যেও সে বার্তা ছড়িয়ে যায়। ঘড়ির কাঁটা ধরে ২৪ মিনিট ‘মৃত’ অবস্থায় থাকার পর হঠাৎ নড়ে ওঠেন তিনি!ওই অবস্থায় ‘মৃত’কে দেখে আইসিইউ ওয়ার্ডের নার্সরা ‘ভূত…ভূত’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অন্তত এ ভাবেই সমাজমাধ্যমে নিজের পুনর্জন্মের বিবরণ দিয়েছেন লরেন।তার এই পোস্টের পরে কার্যত মার্কিন লেখক সমাজে শোরগোল পড়ে গেছে।লরেন লিখেছেন, “আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার দৈন্য দেখে আমার করুণা হচ্ছে।আমার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে,জানি না আরও কত মানুষের সঙ্গে এমনটা ঘটে চলেছে! চিকিৎসকরা আমাকে ২৪ মিনিটের জন্য মৃত ঘোষণা করেছিলেন।অথচ আমি মারা যাইনি।বেঁচে ছিলাম,তবে অচৈতন্য অবস্থায়।অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, চিকিৎসকেরা আমার শারীরিক স্থিতি খতিয়ে দেখারও প্রয়োজন বোধ করেননি।”আমেরিকার লেখিকা লরেন ক্যানাডে গত ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎই নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন।জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।লরেনের এমন অবস্থা দেখে তাঁর স্বামী দ্রুত তাকে সিপিআর দেওয়া শুরু করেন। সেই সঙ্গে ‘৯১১’-তে ফোন করেন।হাসপাতালে দু’দিন কোমায় ছিলেন লরেন। আইসিইউতে ৯ দিন যমে মানুষে টানাটানি চলে।একটা সময় তার হৃদস্পন্দন পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়।শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকরা তাকে ‘ক্লিনিক্যাল ডেথ’ ঘোষণা করে দেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.