মৃত ছেলের নামেপ্রাথমিক স্কুলে ফেরঅনুদান দিনমজুরের
তার একমাত্র ছেলের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে কালেক্টার হওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।তার অনেক আগে না ফেরার দুনিয়ায় চিরতরে চলে গেছে ছেলে!তার সন্তান চলে গেছে, কিন্তু বাকি ছেলেরা যে অজ গ্রামের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে। *কে জানে এদের মধ্যে কেউ বড় হয়ে কালেক্টর হবে না। যদি হয়,এদের মধ্যে থেকেই যদি কেউ বড় হয়ে কালেক্টর (জেলাশাসক)হয়, তবেই তো তার মৃত ছেলের স্বপ্নপূরণ হবে। সেই আশাতেই তিল তিল করে জমানো টাকা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিবজয়ন্তীতে ১ লক্ষ টাকা দান করলেন মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ জেলার এক দরিদ্র ক্ষেতমজুর। ব্যতিক্রমী এই পিতার নাম আত্মারাম সোনাভানে। এখন বয়স ৬৬। জেলা সদর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে খামাসওয়াড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। নিজের সামান্য উপার্জন থেকে স্থানীয় জেলা পরিষদ পোষিক প্রাথমিক স্কুলে নিজের মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আত্মারাম চান, তার ‘সামান্য’ দানের অর্থে স্কুলে ডেস্ক ও বেঞ্চি কেনা হোক। টাকার অভাবে নিজে পড়াশোনাই করতে পারেননি।ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পড়া থেমে যায় আত্মারামের। ইচ্ছা ছিল, ছেলেটাকে অনেক দূর লেখাপড়া করানোর। তার বড় ছেলে গোপাল স্বপ্ন দেখত, একদিন সে কালেক্টর হবে। কিন্তু ছেলের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ওসমানাবাদ আদালতে । চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন গোপাল। ২০১৬ সালে । হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।ছেলে নেই তো কী হয়েছে, আত্মারাম এখনও স্বপ্ন দেখেন, গ্রামেরই কোনও পড়ুয়া একদিন পূরণ করবে তার এবং তার মৃত ছেলের স্বপ্ন। আর তার জন্যই গ্রামের স্কুলটিকে যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন বলে ঠিক করেন আত্মারাম। তার ছেলে গোপাল ছোটতে যে স্কুলে পড়ত, সেই স্কুলকেই সাহায্যের জন্য বেছে নেয় এই ক্ষেতমজুর।গত ২৬ জানুয়ারী, প্রজাতন্ত্র দিবসে স্কুলকে দান করেন ৩৩ হাজার । টাকা। তখন বলেছিলেন, ছেলের শৈশবের বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে তার এই দান। এক মাসের মধ্যে এবার দান করলেন ১ লক্ষ টাকা ।