অনলাইন প্রতিনিধি || মেলাঘরবাসীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার আহ্বান নীরমহল ও রুদ্রসাগরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখুন। সম্প্রতি জি- টোয়েন্টি সম্মেলন উপলক্ষে নীরমহল প্রাসাদকে মনোরমভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই সাজ যেন বজায় থাকে তার জন্য মেলাঘরবাসীকেই ভূমিকা নিতে হবে। আজ বিকালে মেলাঘরে আয়োজিত রাজ্যের সর্ববৃহৎ রথযাত্রা উৎসব ও নয়দিনব্যাপী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন,সম্প্রতি পদ্মশ্রী উপাধিপ্রাপ্ত পরিবেশবিদ শ্রীমতী সুধামূর্তি নীরমহল পরিদর্শনে এসে নীরমহলের চতুর্দিকের অবস্থা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে নীরমহলকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে নীরমহল প্রাসাদকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।এটা একটা সম্পদ।রাজ্য-বহিঃরাজ্যের পর্যটকরা এখানে প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করতে আসে, তেমনি পরিবেশবিদ সুধামূর্তিজিও এসেছেন।কিন্তু নীরমহল ও তার চারপাশের অবিন্যস্ত, অপরিষ্কার, চতুর্দিকে কেবলমাত্র প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেটের ছড়াছড়ি।এতো সুন্দর একটি প্রাসাদের চারপাশে এক কদর্য রূপ কেন এনিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেন এর ফলে এই প্রাসাদের সৌন্দর্য বিনষ্ট যেমন হবে তেমনি আগত পর্যটকরাও আশাহত হবেন।মেলাঘরবাসীকে এই সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সৌন্দর্য বজায় রাখলে মেলাঘরের সুনামের সঙ্গে রাজ্যেরও সুনাম হবে।মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন শীঘ্রই গোটা রাজে প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান চালানো হবে।নয়দিনব্যাপী রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন মেলাঘরের রথযাত্রা উৎসব, এই বিগ্রহের ইতিকথা প্রায় সকলেরই জানা।ত্রিপুরার কৃষ্টি সংস্কৃতি জাতি- জনজাতির পরম্পরাগত সম্পর্ককে মজবুত করে।বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে তিনি সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন।রাজ্যে উনিশটি জনজাতি গোষ্ঠী রয়েছে।না গেলে বুঝা যায় না ৷এতে গর্ববোধ হয়। বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণের যথার্থতা রয়েছে।রাজ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই কৃষ্টি সংস্কৃতির পরম্পরাগত ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হয়েছে যা অতীতে দেখা যায়নি। ভগবান ছাড়া কিছু ভাবা যায় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন।এই ভাবনার মাধ্যমে দেখি দেশ কোন দিশায় চলছে। বর্তমানে নাস্তিকতা থেকে ফের আস্তিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রজন্ম।ঐতিহ্য,পরম্পরা বজায় রাখার আনন্দের মুহূর্ত সারা বৎসর ধরে বজায় রয়েছে। বর্তমান সময়ে ইসকনের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর নানা জায়গায় রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। রথযাত্রার মাধ্যমে কৃষ্টি সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হয়। বর্তমানে জুন মাসের একুশ তারিখ বিশ্ব যোগা দিবস হিসাবে পালিত হয়। এখানে ধর্মের কোনও স্থান নেই, সারা পৃথিবীতে তা তুলে ধরেছেন। ভগবান শুধু মন্দিরে থাকেন। কিন্তু রথযাত্রার এই বিশেষ দিনে ভগবান মন্দির থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে আসেন। মানুষের সঙ্গে মিশে যান, সকলের মধ্যেই ভগবান বিরাজমান।পরবর্তী প্রজন্মও এই নিয়ে চর্চা করছে।ব্যক্তিধর্মী ভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে রাজ্যের ও দেশের উন্নতি হয়। রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মেলাঘর জগন্নাথ মন্দির এলাকা, মেলার বিভিন্ন স্থান, নির্মীয়মাণ আটান্ন ফুট উচ্চতার রথ পরিদর্শন করে মেলাঘর জগন্নাথ পরিচালন কমিটির অফিসকক্ষে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বর্তমানে যে দুকোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মন্দির নির্মাণ হচ্ছে সেই নির্মাণশৈলী পরিদর্শন করে সে সম্পর্কে বিস্তৃত জেনে নেন। এক্ষেত্রে জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটি মন্দির নির্মাণে আর্থিক দৈন্যতার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরে।মেলাঘর রথযাত্রা উৎসব ও নয়দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভাষণ দেন বিধায়ক কিশোর বর্মণ, সিপাহিজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। স্বাগত ভাষণ দেন সিপাহিজলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডা. বিশাল কুমার। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজিত প্রার্থী দেবব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুর বদলে এবার শান্তির বার্তা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দরের।ভারত যুদ্ধ থামালে, তারাও থেমে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজৌরিতে পাক সেনার গোলাবর্ষণে প্রাণ গেল রাজৌরির অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার রাজকুমার থাপার।…
আজকের দিনের প্রতিটি যুদ্ধ মানেই প্রথমেই স্নায়ুযুদ্ধ।স্নায়ুযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের উপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়িয়ে তোলার মাধ্যমে…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চার দিনের মাথায় আবারও ভূমিকম্প পাকিস্তানে।শুক্রবার রাত ঠিক ১টা ৪৪ মিনিট।আগের দিনের তুলনায়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবারের পুনরাবৃত্তি। সন্ধ্যা আটটার পর থেকেই শুরু হয় একই কায়দায় ড্রোন মিসাইল হামলা…