রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
মৈত্রী সেতুতে যাত্রী চলাচলের কাউন্টডাউন শুরু দুই পারেই
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || সাব্রুমের সুসংহত স্থলবন্দর হয়ে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী চলাচলের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলা নববর্ষের প্রথম মাসেই শুরু হয়ে যাবেব বহু প্রতীক্ষিত এই রুটে যাত্রী চলাচল। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ল্যাণ্ডপোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়ার চেয়ারম্যান আদিত্য মিশা সহ দুই দেশের এক প্রতিনিধি দল সাব্রুম নির্মীয়মাণ আইসিপির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। তারা সুসংহত স্থলবন্দরের পরিকাঠামোর যাবতীয় বিষয়ও খতিয়ে দেখেন। তাদের সফরের পরই সফরকারী দলের এক আধিকারিক জানান,সাব্রুমে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু হয়ে যাত্রী চলাচল এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষায়।
সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে যাত্রী চলাচলের লক্ষ্যে অভিবাসনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে।আইসিপি যাত্রী চলাচলের
পরিকাঠামোগত দিক থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।এখন শুধু বাংলাদেশের দিকের জন্য অপেক্ষা। প্রতিবেশী দেশও
ইমিগ্রেশনের কাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। তারাও চাইছে যত দ্রুত সম্ভব যাত্রী চলাচলের কাজ শুরু করে দিতে। যতদূর জানা গেছে, বাংলাদেশের দিকেও কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। সে দেশের একটি কমিটি খুব সহসাই তাদের দিকের কাজের পর্যালোচনা করবে। এরপরই শুরু হয়ে যেতে পারে উভয় দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল। বৃহস্পতিবার উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের সাক্রম পরিদর্শনের পর বাংলাদেশের দিকে কাজের গতি আরও বাড়বে বলেও আভাস মিলেছে।যতদূর জানা গেছে, সাক্রম আইসিপি হয়ে পণ্য চলাচল এখনই শুরু হচ্ছে না। সাক্রম আইসিপিতে কার্গো পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের দিকে কার্গো কাঠামো হয়নি। কাজের তোড়জোড় চলছে।
বুধবারই রাজ্যে আসেন ল্যাগুপোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়ার চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রা। তিনি এদিন আগরতলা আইসিপির কাজের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি রাজ্যত্যাগ করেছেন।নয়াদিল্লী-ঢাকা চাইছে খুব দ্রুত মৈত্রী সেতুর উপর দিয়ে প্রথম পর্যায়ের যাত্রী চলাচলের প্রক্রিয়া শুরু করতে। এই লক্ষ্যে, দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সাক্রম আসেন। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এলপিএআই চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রা। দুই দেশের যৌথ প্রতিনিধি দল পরিকাঠামোর বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে। ভারতের দিকে আইসিপির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বাংলাদেশের অংশের দিকে আইসিপির কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোচ্ছে। শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে লোক চলাচল শুরু করার ব্যাপারে প্রতিনিধি দল আলাপ আলোচনা করেছেন। প্রায় এক বছর আগে মৈত্রী সেতুর কাজ শেষ হয়ে গেছে। পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। পুরোপুরি পরিকাঠামো শেষ হওয়ার সময় সাপেক্ষে দুদেশের মধ্যে লোক চলাচলের বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লী। দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শীঘ্রই লোক চলাচল শুরু হবে মৈত্রী সেতু দিয়ে। আর চলতি বছরে খুলে যেতে পারে আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের বহু প্রতীক্ষিত দ্বার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লুক ইস্ট পলিসির অন্যতম দিক হচ্ছে পিছিয়ে পড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান করে তোলা। ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু এই অঞ্চল দিয়ে আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা পেয়ে সাক্রম আগামীদিনে হয়ে উঠবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা দ্রুত এই চলতি প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। গত বছর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্রমের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ফেনী নদীর উপরে নির্মিত মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছিল। সে সময় দুই পারের পরিকাঠামো গড়ে উঠেনি। এখন উভয় প্রান্তে যাত্রী চলাচলের পরিকাঠামো সম্পন্ন হয়ে গেছে। দুই পারের মানুষ চাইছেন বাংলা নতুন বছরের শুরুতেই সূচনা হোক ইন্দো বাংলার মধ্যে যাত্রী চলাচল।