মৈত্রী সেতু ঘিরে কালো মেঘের ঘনঘটা!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অভিঘাতের জের- ঘূর্ণাবর্তে পড়ে গেলো চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের সুবিধা ও ফেনী নদীর উপর নির্মিত ভারত-বাংলা মৈত্রী চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর ভারতকে উন্মুক্ত করার বিষয়টি শেখ হাসিনার বাংলাদেশের অভ্যন্তরের রাজনীতির পরিসরে কঠিনতম ও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল।কিন্তু শত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে সাবেক হাসিনা সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রানজিট-এর সুবিধা ভারতকে দিয়ে দেয়। জামাত ও মৌলবাদী সংগঠনগুলো কোনদিন থেমে থাকেনি।সব সময় বিরোধিতা করে গেছে।চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর নিয়ে ক্রমাগত সুর সপ্তমে চড়িয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের ভেতরে ভারত বিরোধী শক্তিগুলো।চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের সুবিধা ভারত পেলে বাংলাদেশের
পক্ষে তা হবে আত্মঘাতী খেলা।জামাতের সাথে বিএনপি এইভাবে প্রচার চালিয়েছিল।বাংলাদেশের
অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হাসিনাকে চেপে ধরতে বিভিন্ন ভারত বিরোধী শক্তি ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে গেছে।তিস্তা নদী নিয়ে হাসিনা কিছু করতে না পারা এবং পাশাপাশি ভারতকে চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের সুবিধা দিয়ে দেওয়া প্রচারের অভিমুখ বিপজ্জনক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল।বাংলাদেশের জন মানুষকে খুব সুপরিকল্পিতভাবে প্রচার চালিয়ে গেছে।ভারতকে ট্রানজিটের সুবিধার প্রশ্নে অতীতে আমরা দেখেছি বিএনপি শাসন অথবা সেনা শাসন আলোচনা করতেই রাজি ছিল না নয়া দিল্লীর সাথে।চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধাতো দূর অস্ত।কিন্তু হাসিনা সরকার অর্থনীতির বৃহৎ স্বার্থে চট্টগ্রাম সি পোর্ট-এর সুবিধ ভারতকে দিয়ে দিয়েছে।কিন্তু বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক আবহ,অবস্থ যে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা সহজে অনুমেয়।চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের হাসিন সরকারের দেওয়া সুবিধা বর্তমান সরকার কী বহাল রাখবেন।এ প্রশ্নটি এই মুহূতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।কেন না চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের ট্রানজিটের সুবিধার বহাল না রাখলে মৈত্রী সেতুর দুই দিক উন্মুক্ত হয়ে যাবে।কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া।সমস্ত কিছু উলটপালট হয়ে গেলো। এদিকে সাক্রম স্থল বন্দর পুরোপুরি প্রস্তুত। মৈত্রী সেতু অনেকদিন আগেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।দুদেশের আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের ভরকেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার।বরাবরই বহুদিন আগে থেকে নয়া দিল্লীর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশেন চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের ভৌগোলিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিন বাণিজ্যের এক নতুন রুট চালু করা।যা থেকে ব্যাপক ভাবে উপকৃত হতে পাে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো।এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আভ্যন্তরী রাজনীতি যে প্রেক্ষাপট দেখা যাচ্ছে, তা থেকে নয়াদিল্লী কতটা সুবিধা আদায় করতে পারবে, তা লক্ষ কোটি টাকার প্রশ্ন।ফলে স্বাভাবিকভাবে মনে হচ্ছে মৈত্রী সেতুর ঈশান কোণে যেন সারি সারি কলো মেঘ জমতে শুরু করেছে।

Dainik Digital

Recent Posts

নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ভারতীয় সেনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের…

34 mins ago

বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক মোদী সরকারের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা পরপাকিস্তানের বিরুদ্ধে…

49 mins ago

শূন্য কলস!!

শূন্য কলসি বাজে বেশি,আশৈশব এই বাক্যটি পাঠ্যে পড়ে বেড়ে উঠেছি আমরা সকলে।এখন পাক ফৌজির হম্বি…

6 hours ago

বাতিল করলেন তিন দেশের সফর প্রধানমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মে মাসের মাঝামাঝি ক্রোয়েশিয়া, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র…

7 hours ago

পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পাকিস্তানে ভারতের হামলায় মৃত বেড়ে ২৬। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক জানিয়েছেন,…

7 hours ago

কৃষকের মাঝেই ঈশ্বরের অবস্থান: রতন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান!!

অনলাইন প্রতিনিধি :;মঙ্গলবার সারা রাজ্যে একাধিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত বছর রাজ্যের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের…

7 hours ago