রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
মোকার প্রভাব, বিদ্যুৎ কৃষি দপ্তরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি, বাতিল ছুটি
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || ব্যাপক গতি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। আবহাওয়া দপ্তরের বার্তা অনুযায়ী শনিবার ভোর রাত থেকে পরবর্তী, যে কোনও সময় রাজ্যে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে আগামী তিনদিন রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে সমস্ত ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত আরও বাড়তে পারে। শনিবার রাতে মহাকরণে বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব, নিগমের এমডি সহ সমস্ত শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে এই কথা জানান বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ । তিনি আরও জানান, মোকার কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতি হতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবায় । তাই আগে থেকেই সতর্কতামূলক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত গাড়ি, লোক এবং ঠিকাদারদের প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে। অফিসার এবং বিদ্যুৎ কর্মীরা চব্বিশ ঘণ্টা তৈরি থাকবে। মন্ত্রী নিজে আজ প্রতিটি জেলা ও মহকুমার বিদ্যুৎ পরিষেবায় যুক্ত অফিসারদের সাথে কথা বলে তাদের সতর্ক করেছেন। একই সাথে জরুরি ভিত্তিতে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এক কথায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি অনুযায়ী সকলকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণকেও সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। ঝড়ের সময় যাতে কেউ বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের নিচে না থাকে। শুধু বিদ্যুৎ দপ্তরই নয়, কৃষি দপ্তরের সচিব, আধিকারিকদের নিয়েও আজ জরুরি বৈঠক করেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের পঞ্চাশ হাজার কৃষককে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের যত দ্রুত সম্ভব বোরোধান কেটে নেওয়ার এবং কেটে রাখা ধান দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আগামী তিনদিন আপাতত জমিতে যেন কোনও ধরনের সার ও রাসায়নিক ব্যবহার না করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কলা, সুপারি, পেঁপে গাছ যাতে ঝড়ে ভেঙে না যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আম গাছের নিচে যতটা সম্ভব নেট বিছিয়ে রাখার জন্য বলা হয়েছে। যাতে গাছ থেকে আম পড়লেও তা নষ্ট না হয়। এই সময়ে যতটা সম্ভব সবজি ফসল তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতি কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। কৃষি দপ্তরের কর্মীদেরও আগামী চার-পাঁচ দিন সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ।