মোদির নেতৃত্ব ফিল গুড অনুভূতি এনেছে : মুখ্যমন্ত্রী।

 মোদির নেতৃত্ব ফিল গুড অনুভূতি এনেছে : মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত ৯ বছরের কার্যকালে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের জন্যই তা সম্ভবপর হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক এগিয়ে যাবে রাজ্য।এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়ে আছে। রবিবার রবীন্দ্র ভবনে টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পথনির্দেশে ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি এগিয়ে চলছে।প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যকালের ৯ বছর পূর্তি উদ্যাপনের অংশ হিসাবে এ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন যজ্ঞ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা মেলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,এই সময়ে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নত হয়েছে।পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিলো ৩৯০.৬৮ কোটি টাকা। যা এখন ২০২২-২৩ এ বেড়ে ৭৫৮.৯ কোটি টাকা হয়েছে। বিষয়টি রাজ্যের ব্যাপক আর্থিক অগ্রগতির চিত্র প্রকাশ করে। উপরন্তু, চলতি বছর বাংলাদেশে ১২১.৩৭ কোটি টাকার পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করা হয়েছে।এর পাশাপাশি দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে মৈত্রী সেতু নির্মাণের ফলে এই অঞ্চল আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। আগামী দিনে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে ত্রিপুরা এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে।এই সেতু নির্মাণের ফলে গ্রামীণ এলাকায় জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। বিজেপি এমন একটা দল যারা কাউকে কোনও সময় বঞ্চিত না।বর্তমান সরকার জনজাতি সসম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনজাতি অংশের ছেলেমেয়েদের উন্নতমানের শিক্ষার জন্য জনজাতি এলাকায় আরও ১৭টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল তৈরি করা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী যেভাবে জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন দেশের পূর্ববর্তী কোনও প্রধানমন্ত্রী এমন কিছু করেননি।রাজ্যে ককবরক ভাষা সম্পর্কিত কিছু সমস্যা র‍য়েছে। তবে আমাদের সরকার রাজ্যের ১,৪০০টি স্কুল ককবরককে একটি বিষয় হিসাবে চালু করেছে। আইপিএফটির সঙ্গে বিজেপির. ভালো সম্পর্ক রয়েছে।পদ্ম শিবির চায় জাতি-জনজাতি উভয় অংশের মানুষ একসঙ্গে শান্তি সম্প্রীতি আবহে বসবাস করুক। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, তাদের কাউকে বঞ্চিত করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। কারণ আগের সিপিএম সরকার বঞ্চনার সরকার হিসেবে পরিচিত ছিল। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে দেশের উন্নয়নে এবং ত্রিপুরার জন্য কাজ করছেন তা নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাকে হিরা মডেল উপহার হিসেবে দিয়েছেন।তার অ্যাক্ট ইস্ট নীতির কারণে রাজ্যে জাতীয় মহাসড়ক, বিমান যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ, উন্নত্তর ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়েছে রাজ্য। আগামীতে জলপথের মাধ্যমেও সংযোগ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা রাজ্যবাসী আগে কখনও দেখেনি। এতে ‘ফিল গুড’ অনুভূতি এসে পড়েছে। উত্তর-পূর্বের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের সময়েও তারা মত প্রকাশ করেন যে এখন নিজেদের ভারতের মূল স্রোতের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হয়। এ দিন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত ৯ বছরে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সেটা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।গর্বের সাথে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকারের সময়ে কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছেন। তিনি জানান,২.৪৭ লক্ষেরও বেশি কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাদের বার্ষিক আয় ১৩,৫০০ টাকা হয়েছে।প্রায় ৩.৭ লক্ষ কৃষক কিষান ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি) স্কিমের মাধ্যমে ঋণ পেয়েছেন।সরকার ১৩ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। পাশাপাশি ১ লক্ষ ছাত্রীকে বিনামূল্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। শিশু ও মহিলাদের উন্নয়নের জন্যও খুবই আন্তরিক সরকার। রাজ্যে ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.