মোদি ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব ছিল না : মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইন প্রতিনিধি || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ।একই পথ ধরে এগোচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যও। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন চলছে।যা আগের সরকারগুলির সময় ছিল কল্পনাতীত বিষয়। এখন অতীত হয়ে গেছে সেই দিন।প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির কার্যকালের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার আগরতলায় একটি বেসরকারী হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয় বছর সময়কাল সেবা, সুশাসন,গরিব কল্যাণে কেটেছে।প্রধানমন্ত্রী সবসময় নিজেকে একজন সেবক মনে করেন এবং এর জন্য তিনি সর্বদা গরিব মানুষ এবং সরকারের জন্য কাজ করে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। টাকাও ব্যয় হয় গরিব মানুষের কল্যাণের জন্য।প্রধানমন্ত্রী মোদি দর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ে তুলতে কাজ করছেন।পূর্বতন সরকার মানেই দুর্নীতি আর কেলেঙ্কারি। প্রধানমন্ত্রীর জন্যই দেশের মানুষ ডবল ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং যার জন্যই আমরা বেঁচে আছি। জনতা কারফিউ থেকে শুরু করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি কোভিড থেকে মানুষকে বাঁচাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সাধারণ মানুষকে পাকা বাড়ি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে গরিবদের আবাসন নির্মাণে এমন বিপ্লব আগে কখনও দেখা যায়নি। সারা দেশে সাড়ে তিন কোটির মতো বাড়ি দেওয়া হয়েছে এবং ত্রিপুরায় দুই লক্ষেরও বেশি বাড়ি দেওয়া হয়েছে।এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য আরও এক লক্ষ পাকা বাড়ি মঞ্জুর করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাটির চুলোয় রান্না করা মা বোনেদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২ লক্ষ ৮৩ হাজার পরিবারকে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।কোভিড মহামারির সময় সাত লক্ষেরও বেশি সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পেয়েছেন। কৃষকদের কল্যাণে এবং কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিজাত দ্রব্যের দাম বাড়ায়নি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার জন্য তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভারত ক্রমশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তার দিল্লী সফরের সময় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া তাকে জানিয়েছেন আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু করা হবে। কোভিডের সময়ও অর্থনীতির বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের জাতীয় মহাসড়কের সংখ্যাও বেড়েছে। যেখানে রাজ্যে শুধু একটি লাইফলাইন ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়া এই উন্নয়ন কোনওভাবেই সম্ভব নয় এবং কেউ তার ভাবতেও পারে না। কারণ তিনি সবসময় জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। আগে রাজ্যে কেউ জলপথের কথা ভাবতে পারেনি। বর্তমানে জলপথে যোগাযোগের কথাও ভাবা হচ্ছে। জলপথ তৈরি হচ্ছে বর্তমানে।২০১৪ সালের আগে দেশে বিশ্ব মানের কোনও ট্রেন ছিল না। কিন্তু শেষ নয় বছরে দেশে বিশ্বমানের ট্রেন চালু হয়েছে নয়টি। ত্রিপুরা রাজ্যেও বর্তমানে বিভিন্ন রুটে ১২ থেকে ১৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৪ সালে দেশে মেডিকেল কলেজ ছিল ৬৪১টি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নয় বছরে ৭০০ টি নতুন মেডিকেল কলেজ হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে এইমসের অনুকরণে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রয়াস চলছে। ডেন্টাল কলেজ স্থাপন হয়ে গেছে। গত নয় বছরে দেশে ৩৯০টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যাক্ট ইস্ট নীতির কারণে ত্রিপুরা সহ সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি উপকৃত হয়েছে।রাজ্যও হীরা মডেল উপহার পেয়েছে।প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেছেন, যে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া ভারতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।এই দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবায়নও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।এ দিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ রিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।শ্রী ভট্টাচার্য তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর নয় বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে হাতে নেওয়া কর্মসূচির উল্লেখ করেছেন।তিনি বলেন, ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এক মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে গোটা রাজ্যজুড়ে। আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারও কর্মসূচিতে ছিলেন।