এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে।এমনটাই মনে করছে দেশের তামাম রাজনৈতিক মহল।অথচ এখনও বিজেপি বিরোধী জোট দানা বাঁধেনি।আদৌ দানা বাঁধবে কিনা?সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।কেননা, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও লক্ষণ বা সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।ভোট একেবারে দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে,অথচ বিরোধীরা গত সাত মাস আগে প্রস্তুতি শুরু করেও এখনও পর্যন্ত আসল কাজটি করে উঠতে পারেনি। এককথায় বলতে হলে, বিরোধীরা সেই আগের মতোই ছন্নছাড়া অবস্থাতেই রয়েছে। বরং যত ভোটের দিন এগিয়ে আসছে, ততই বিরোধী জোট ভেঙে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে আর উল্টোদিকে ছবিটা একেবারেই অন্যরকম। তৃতীয়বার জয়ের ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী হলে প্রধানমন্ত্রী মোদি চলতি অন্তর্বর্তী য বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণে তিনি এনডিএ জোটের আসন সংখ্যা পর্যন্ত বলে দিচ্ছেন।

সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন,বিজেপি একাই ৩৭০ আসন পাবে। এনডিএ জোটের বাকি শরিকরা মিলে সেই সংখ্যাটিকে ৪০০-এর গন্ডি পার করে দেবে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন।তিনি যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন,তখন প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসের সুর ঝড়ে পড়ছিলো।প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এমন আত্মবিশ্বাস? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি,প্রধানমন্ত্রীর এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে বিরোধীদের চরম অনৈক্য।এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটকে আরও ঘেঁটে দেওয়ার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি।চলতি অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি
সুকৌশলে যেভাবে কংগ্রেস এবং বিরোধীদের নিশানা করেছেন,তাতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে বিরোধী জোট আরও নড়বড়ে এবং ছন্নছাড়া হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিরোধী জোট ছেড়ে ফের মোদির হাত ধরেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী,

আম আদমি সুপ্রিমো দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একাই লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে।উত্তরপ্রদেশেও বিরোধী জোটের আরেক শরিক এনডিএ-তে যুক্ত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এখানেই শেষ নয়,মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ারও বড় ধাক্কা খেয়েছেন।ভাইপো অজিত পাওয়ারই এনসিপি দল এবং দলের প্রতীক ঘড়ির মালিক বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।একই সাথে ধুরন্ধর রাজনৈতিক নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে একের পর এক কৌশলী চাল দিয়ে চলেছেন।কখনও নাম করে কখনও নাম না করে কয়েকজন কংগ্রেস নেতা সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে কংগ্রেসের মধ্যেও একটা অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বঙ্গের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। চলতি অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সম্পর্কে এমন সব কথা বলেছেন,যা বিশেষ তাৎপর্য ও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদির এই কৌশল নিছক কাকতালীয় নয়,বরং পরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত বার্তা।আর এই বার্তার অন্তর্নিহিত অর্থ হচ্ছে,’বেরিয়ে এলে জায়গা তৈরি।’ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে।ভোট ঘোষণা পর্যন্ত ‘মোদি বার্তা’ বিরোধী জোটে আরও কতটা প্রভাব পড়ে? এখন সেটাই দেখার।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

17 hours ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

17 hours ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago

রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…

3 days ago

ইন্ডিয়ান বুকে রাজ্যের মেয়ে ঝুমা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…

3 days ago

সুশাসনে আইনশৃঙ্খলা!

রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…

3 days ago