বেকারত্ব আর দুর্মূল্যের যুগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খরচ বে জোগাতেই মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনের খরচের উল্লম্ফনে আরও বিপদে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ্যের দৈনন্দিন জীবন তো বটেই, বহু জরুরি পরিষেবার সঙ্গেও আমাদের মোবাইল নম্বর এখন ওতপ্রোত।যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের অ্যাকাউন্ট,গ্যাসের বই, রেশন কার্ড, সরকারী প্রকল্পের সুবিধা, বিভিন্ন প্রকার বিমা, জমি-বাড়ি বিক্রি,খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ- কোথায় নয়! যাপনের অন্যতম চালিকাশক্তি এখন মোবাইল।
এক সময় প্রয়োজন অনুযায়ী স্বল্পমূল্যে বহন করা যেতো মোবাইল ব্যবহারের খরচ। কিন্তু এখন সীমাহীন কল, সীমাহীন ডেটার লোভ দেখিয়ে কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসার ভার চাপিয়ে চলেছে জনসাধারণের উপর। মোবাইল এখন কার্যত বাধ্যতামূলক,সেই সুযোগে বাড়তি খরচ চাপানোর সুযোগ পাচ্ছে সংস্থাগুলি। আর অদ্ভুতভাবে সরকারও এই বিষয়ে নির্বিকার। মোবাইলে নম্বর যখন সরকারী সমস্ত তথ্যের জন্য বাধ্যতামূলক, তখন সাধারণ মানুষের জন্য সরকারীভাবে মোবাইলের ন্যূনতম খরচের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করুক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। আর কতদিন এভাবে মানুষকে ভুগতে হবে?
গত ৩ জুলাই থেকে দেশের মূল তিনটি টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা তাদের রিচার্জ মাশুল ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।এমনিতে গ্যাস থেকে খাদ্যপণ্যের দামে অগ্নিমূল্যের যুগে সাধারণ দরিদ্র মানুষের ক্রমশ বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠছে। বাজারে একসময় সরকারী সংস্থা বিএসএনএল ছিল। কিন্তু খোদ সরকারেরই অবহেলায় আজ তার সঙ্গিন অবস্থা।এবারের নির্বাচনে মানুষ কেন্দ্রের শাসকদলকে চারশো আসনের লক্ষ্য পার করায়নি বলেই সাধারণ মানুষকে পাল্টা দিচ্ছে সরকার, বিরোধীদের এমন অভিযোগ রাজনৈতিক হলেও, এর সারবত্তা ফেলনা নয়। সমাজমাধ্যমে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনায় প্রসঙ্গটি সমালোচিত হলেও সরকার, নেতা, মন্ত্রীরা এর বিরোধিতা করেননি।দশ বছর আগে প্রি- পেইড মোবাইল ব্যবহারের খরচ যেখানে মাসিক ৫০ টাকা ছিল, বর্তমানে সেটি মাসিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা হয়েছে। ওই পরিমাণ টাকায় আগে ৩০ দিনের ভ্যালিডিটি পাওয়া যেত, বর্তমানে মেলে ২৮ দিন। অর্থাৎ, বারোবারের বদলে মানুষকে এখন বার্ষিক তেরোবার রিচার্জ করতে হয়। ফলে, বাৎসরিক খরচ ন্যূনতম ছোট মোবাইলের ক্ষেত্রে ১৯৯০১৩= ২,৫৮৭ টাকা। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করলে বাৎসরিক ন্যূনতম খরচ ২৯৯×১৩= ৩,৮৮৭ টাকা।
দেশে বহু প্রবীণ নাগরিক আছেন, যাদের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে মোবাইলের এই বড় অঙ্কের খরচ বহন করা সম্ভব না হলেও সরকারী সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে তারা মোবাইল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।এহ বাহ্য, বর্তমানে প্রয়োজনের কারণে একটি পরিবারে কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি মোবাইলের খরচ বহন করতে হয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা এবং পরিবারের প্রধানের কাজের প্রয়োজনে মোবাইলকে ক্রমে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যাবশ্যক বস্তুতে পরিণত করেছে। ফলত, সব মিলয়ে ওই পরিবারের মোবাইলের বাৎসরিক খরচ উক্ত খরচের দুই বা তিনগুণ।
সাংসদ, বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকলেও জনগণের করের টাকায় তাদের মোবাইলের, যাতায়াতের খরচ বহন করা হয়, তাদের বার্ধক্যকালীন পেনশন দেওয়া হয়, বাসস্থানের ভাড়া গোনা হয়। অথচ সাধারণ জনগণ, যারা কঠোর পরিশ্রম করে সামান্য অর্থ রোজগার করেন, তাদের একপ্রকার শোষণই করা হচ্ছে এই মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমে। কোম্পানিগুলি যেমন তাদের লভ্যাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে মোবাইল রিচার্জের মাশুল বাড়াচ্ছে, তেমনই সরকারও এই টাকার ১৮ শতাংশ জিএসটি বাবদ বিপুল রোজগার করছে।সেই কারণেই কি তারা এই খরচ বৃদ্ধিতে সম্পূর্ণ নীরব?ট্রাই সূত্র বলছে, দেশের সাড়ে নয় থেকে দশ কোটি মানুষের কাছে এখনও ফিচার ফোন (সাধারণ মোবাইল)।তারা শুধু কথা বলতে চান।এছাড়াও এমন মানুষের সংখ্যা বহু যাদের ডেটা কোনও কাজে লাগে না। ডেটা ব্যবহার না করেও কেন তাদের ইন্টারনেটের খরচ বহন করতে হবে? মানুষ একদিন না খেয়েও কাটিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু একদিন মোবাইল ফোনের সংযোগ না থাকলে বর্তমান জীবন দুর্বিষহ। কর্মবাজার সঙ্কুচিত, শ্রম নিরাপত্তা কার্যত শিকেয়, এমতাবস্থায় প্রতিটি পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল নম্বর কি নিঃশুল্ক করতে পারে না সরকার?যাতে ওই পরিবারের সামর্থ না থাকলেও আধার কার্ড সম্পর্কিত তথ্য, রেশন সম্পর্কত তথ্য ও অন্যান্য সরকারী সুবিধাগুলি পেতে তাদের নাভিশ্বাস অন্তত কিছুটা হ্রাস পায়।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…