মোবাইল অ্যাপে ‘দুয়ারে’ পৌঁছে যাবে জয়নগরের আসল মোয়া!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-মোবাইল ফোনের অনলাইনে এক ক্লিকেই মিলছে জয়নগরের সুস্বাদু মোয়া।‘জি-পে’ বা ‘ফোন-পে’র মতো ডিজিটাল যগে জয়নগরের মোয়া ব্যবসাও পিছিয়ে নেই।সেখানেও লেগেছে ডিজিটালাইজেশনের মতো আধুনিকতার ছোঁয়া। এখন সবার হাতেই রয়েছে স্মার্ট ফোন। আর ওই ফোনের সাহায্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে মোয়ার অর্ডার দিলে তা পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতাদের দুয়ারে।ক্রেতা যদি বিদেশেরও হন, তবে মোয়া পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও।ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসে ভোজন রসিক বাঙালি এবার জয়নগরের মোয়ার স্বাদ পাচ্ছেন।শুধুমাত্র নিজের স্মার্ট মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দিলেই ঘরের দুয়ারে এসে পৌঁছে যাচ্ছে শীতের জনপ্রিয় খাবার জয়নগরের মোয়া। তার জন্য অবশ্য ক্রেতাদের স্মার্ট ফোনের ‘প্লে স্টোরে’ গিয়ে ‘মোয়ার অ্যাপ’ ডাউনলোড করতে হবে। অনলাইনের এই পরিষেবার ফলে জয়নগরের মোয়া এবার জেলা, রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশেও।এক সময়ের সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা বলে পরিচিত ছিল জয়নগর। কিন্তু এখন সেখানকার মোয়াই জি আই স্বীকৃতি পেয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।শীতের সময় খেজুর গাছের রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় নলেন গুড়।আর সেই গুড়ের সঙ্গে কনকচূড় ধানের খই, কাজু, কিশমিশ, খোয়াক্ষীর, এলাচগুঁড়ো দিয়ে বানানো হয় জয়নগরের মোয়া। কারিগরদের হাতের জাদুতে তার স্বাদ হয় অনবদ্য।ফলে এই প্রসিদ্ধ হয়েছে বাঙালির ঘরে ঘরে। আর এই মোয়ার টানেই রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাঙালিরা ছুটে আসেন জয়নগরে। যদিও অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকলেও তারা জয়নগরে আসতে পারেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই এবার অনলাইনে জয়নগরের মোয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকজন মোয়া ব্যবসায়ী।তাদের কথায়, প্রতিবছর শীত পড়লেই বিভিন্ন জায়গায় জয়নগরের মোয়ার নাম করে নিম্নমানের জিনিস বিক্রি হয়। ফলে আসল জয়নগরের মোয়া পান না অনেকেই। এবার অবশ্য সেই সমস্যার সমাধান করতে বাড়িতে বসেই অনলাইনে বুক করলেই জয়নগরের আসল স্বাদের মোয়া মিলছে।জয়নগরের এক মোয়া ব্যবসায়ী জানান, প্লে স্টোরে গিয়ে জয়নগরের মোয়া অ্যাপস ডাউনলোড করে অর্ডার দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে মোয়া।গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের মোয়া।তারপর থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই মোয়াকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্যে পাঠানোর কাজ শুরু করেন।