অনলাইন প্রতিনিধি :-মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের।অনেক সময় দেখা যায় শুধু রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে।গতবার তো এক জায়গায় ভোট পর্যন্ত বয়কট করা হয়েছে।মানুষ চায় রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানীয় জল।বেশি কিছু মানুষ চায় না। এসবের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব অনেকাংশ ইঞ্জিনিয়ারদের উপর বর্তায়। এসব পাওয়ার জন্য মানুষ কেন রাস্তায় বসে আন্দোলন করবে?রাজ্যবাসী আগে এসব প্রত্যক্ষ করেছে।এখন এসব বিষয় কাম্য নয়। বর্তমান সরকার চায় সকল অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন।রাজ্যের উন্নয়নে সরকারের তরফে যা যা করা প্রয়োজন তা নিশ্চিতভাবেই করা হবে।রবিবার আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে ত্রিপুরা স্টেট ইঞ্জিনিয়ারস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, সরকারের মুখ হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারগণ।দেশের ইঞ্জিনিয়ারগণ বিদেশে গিয়ে সুন্দর সুন্দর বিল্ডিং, ইমরত তৈরি করছেন।আরও অনেক সৃষ্টিশীল কাজ করেছেন প্রকৌশলীগণ।বিদেশে তারা ভালো কাজ করতে পারলে সেটা দেশ বা রাজ্যে কেন হবে না? তিনি বলেন,রাজ্যে মেধার কোন অভাব নেই।রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ মানুষের জন্য খুবই অপরিহার্য।মূলত, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষ চায় এবং এসব রূপায়ণের দায়িত্ব অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারদের।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণের ক্ষেত্রে সরকারের টাকার কোন অভাব হবে না।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রক্তদানের মতো সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, মানুষের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।এসব কাজকর্ম যাতে ভালোভাবে রূপায়ন করা যায় সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের।তাদের কর্মদক্ষতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,সময়ের মধ্যে যাতে উন্নয়নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ রূপায়ণ করা যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিএম, এসডিএম ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাতে আলোচনা করা যায় সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা শিক্ষা পর্ষৎ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক মেধা তালিকার ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষের সমস্যা নিরসনে ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচি সমাজের মানুষের আরও কাছে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সরকার অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে।এজন্য বিভিন্ন কাজকর্ম রূপায়ণ করা হচ্ছে।প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যে একটি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে।ইতিমধ্যে ডেন্টাল কলেজ শুরু করা হয়েছে।রাজ্যে এইমসের ধাঁচে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য এবার দিল্লী গিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছি।সম্প্রতি রাজ্যের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুরস্কৃত হয়েছে।এখন আর রোগীদের কথায় কথায় বাইরে রেফার করতে হয় না। মোট কথায়,স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী সত্যব্রত দাস। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিমল দাস। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার সূর্য কুমার দেববর্মা।উপস্থিত ছিলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার অমিত দাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।শিবিরে ৩১জন রক্তদান করেন। এদিন স্বেচ্ছা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি।পাশাপাশি মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষার জন্য স্বেচ্ছা রক্তদানে সকল অংশের মানুষকে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…