বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় প্রচেষ্টা নিয়েছে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || ম্যালেরিয়া নির্মূলীকরণে রাজ্য সরকার সর্বতো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। একটা সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি ছিল।এখন আর এই পরিস্থিতি নেই। সোমবার নয়াদিল্লীতে হায়াত রিজেন্সিতে ম্যালেরিয়া নির্মূলীকরণে এশিয়া প্যাসিফিক লিডার্স কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তিনি এদিন ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরেন। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকা ম্যালেরিয়া কবলিত ছিল। ভারত সরকার ও গ্লোবাল ফাণ্ডের সহায়তায় ম্যালেরিয়া মোকাবিলার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় প্রতি ১০০০ জনে ৩ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে এবং আক্রান্তদের রোগ নিরাময়ে ১০০শতাংশ সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সালে ত্রিপুরায় ৫১,২৪০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন এবং ৯৬ জন প্রাণ হারান।২০১৬ সালে ৩২,৫২৫ জন আক্রান্ত হয়ে ১৪জন প্রাণ হারান। তারপর থেকে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় রাজ্যে স্ক্রিনিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে জনসংখ্যার ২২.১৫ শতাংশ লোকের স্ক্রিনিং করা হয় যা নাকি ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ফলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত লোকের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আক্রান্তের সংখ্যা জিরোতে নামিয়ে আনার কাজ চলছে। কনক্লেভে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১০.০৬ লক্ষ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১.৮০ লক্ষ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯.২৫ লক্ষ দীর্ঘস্থায়ী ঔষধিযুক্ত মশারি বন্টন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও ১.৮০লক্ষ মশারির বিতরণের জন্য মজুত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাতে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু নিয়ন্ত্রণে স্প্রে, জীবাণু ধ্বংসকারী মাছ ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যের বিশাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দৌলতে এখন দুর্গম এলাকাগুলিতেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তেমনি প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন বাস্তবায়নের কারণেও পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে এখন। এভাবে দৃঢ় প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ত্রিপুরাও ২০৩০-এর মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলীকরণে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।এই কনক্লেভে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীগণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।