যথাসময়েই মিলবে ডিএ, বিধানসভায় জানালেন উপমুখ্যমন্ত্রী
যথা সময়েই রাজ্য সরকারের শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের বকেয়া ডিএ পেয়ে যাবেন । এ জন্য শিক্ষক – কর্মচারীকে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই । সাধ্য মতো সকল শিক্ষক – কর্মচারীদের যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেবে সরকার । সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রে কাজ করছে সরকার । বিধানসভায় বিরোধী দলের দুই বিধায়কের আনা কলিং অ্যাটেনশনের জবাবে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ একথা জানান । উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন , বর্তমান রাজ্য সরকার শিক্ষক – কর্মচারী সহ সকল অংশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে । ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি মতো সামাজিক ভাতাও ২০০০ টাকা করা হয়ে গেছে । টিএসআরের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা তিন বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়েছে । পুজো অনুদান বাড়িয়ে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে । গত বছর থেকেই শিক্ষক কর্মচারীদের ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে । অঙ্গনওয়াড়ি , হোমগার্ড , আশা কর্মীদের পর্যন্ত পুজো অনুদান সহ ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স দিচ্ছে সরকার । উপমুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক – কর্মচারী থেকে শুরু করে সকল অংশের মানুষের জন্য কখন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এ নিয়ে বিরোধীদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হতে পরামর্শ দেন । কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি হলে বিগত সরকারের এক মন্ত্রীর প্রকাশ্যে কুরুচিসম্পন্ন বক্তব্য পর্যন্ত রেখেছিলেন বলে বিরোধী দলের সদস্যদের কটাক্ষ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী । বিরোধী দলের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন , বামফ্রন্ট সরকার কর্মচারীদেরকে ২.২৫ গুণিতক হিসাবে বেতন বর্ধিত করে । বিজেপি – আইপিএফটি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সরকার গঠনের পর সর্বোচ্চ ২.৫৭ গুণিতক হার পর্যন্ত কর্মচারীদের বেতন বর্ধিত করা হয় । এর ফলে , সংশোধিত বেতন পুরোনো বেতনের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । এর ফলে যখনই কোনও ডি এ প্রদান করা হয় , তখন তার প্রভাব বর্ধিত বেতনের ওপর পড়ে । এছাড়াও , গ্রুপ – সি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন প্রতি মাসে ১৮০০০ টাকা করা হয়েছে যা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরূপ । একইভাবে কলেজ শিক্ষকদের জন্য ইউজিসি এবং এআইসিটিই বেতনক্রম চালু করা হয়েছে । উপমুখ্যমন্ত্রী জানান , বিজেপি – আইপিএফটি সরকার কর্মচারীদের অনুকূলে আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো হল- বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে ফেস্টিভাল গ্র্যান্ট ছিল ৭০০ টাকা । বর্তমান সরকার তা বাড়িয়ে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত করেছে । যা দ্বিগুণের থেকেও বেশি । বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স ছিল ৪০০০ টাকা । তা বাড়িয়ে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত করেছে । বামফ্রন্ট সরকার অঙ্গনওয়াড়ি , হোমগার্ড , আশা কর্মীদের জন্য কোনও ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স দিতো না । বর্তমান সরকার তাদেরও ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স দিচ্ছে । রাজ্য সরকার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য হেল্থ ইনশিয়োরেন্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । রাজ্য সরকার তার আর্থিক ক্ষমতার নিরিখে কর্মচারীদের জন্য ডিএ প্রদান করে থাকে । 3rd Pay Commission- এর সময়ে ( যথা ০১-০১-১৯৮৮ থেকে ৩১-১২-১৯৯৫ পর্যন্ত ) কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ -এর ফারাক ছিল ৩২ শতাংশ । বিগত সরকারের 4th Pay Commission এর সময় ( যথা ০১-০১-১৯৯৬ থেকে ৩১-১২-২০০৫ পর্যন্ত ) কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ – এর ফারাক ছিল ২১ শতাংশ । পরবর্তী Pay Review Committee Period ( যথা ০১-০১-২০০৬ থেকে ৩১-০৩-২০১৭ পর্যন্ত ) ডিএ- এর ফারাক ছিল ৩৭ শতাংশ ( কেন্দ্রীয় হার ১২৫ রাজ্যের হার ৮৮ শতাংশ ) । এই ৩৭ শতাংশ ডিএ বকেয়া রেখেই বিগত সরকার নতুন বেতনক্রম চালু করে । এখানে উল্লেখ করা যায় যে , বিগত সরকারের সময়ে Notification No.6 ( 1 ) FIN ( PC ) / 2008 / Part – I dated 06-09-2011 অনুযায়ী – ” The Governor is pleased to take a policy decision on DA / DR as follows : While the rates declared by Central Govern ment have always been kept in view , the State Government has been and will continue to release DA / DR at a rate and on such pe riodicity , which will be specified by the State Government from time to time depending on the resource position of the State . This policy decision is in clarificcation of the previous decision in this regard . “