যথাসময়ে সঠিক জবাব দেবে ভারত: হুঁশিয়ারি দিলেন রতন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশের একাংশ প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং আধিকারিক যেভাবে ভারত দখলের হুমকি দিয়েছেন একে ভারত বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন রাজ্যের বিদ্যুৎ ও কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথ। বিষয়টি সম্পর্কে দেশের বিদেশ মন্ত্রক নজর রাখছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যথাসময়ে এর জবাব দেবেন বলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং একাংশ প্রাক্তন সেনা কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কড়া প্রক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রতনবাবু। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এমন হুংকার কার্যত হাস্যকর।কিন্তু এটা যে গভীর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ এবং দীর্ঘদিন ধরেই ভারত বিরোধী বিশেষত হিন্দু বিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে,এটা স্পষ্ট হয়ে
গিয়েছে তাদের বক্তব্যে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রাবস্থায় তার নিজেরও কিছু অবদান আছে, এ কথা জানিয়ে রতন লাল নাথ জানান, তিনি কোনওদিন এ নিয়ে কিছু বলেননি। কারণ এ রাজ্যের কমিউনিস্ট শাসকেরা বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ বন্ধুর তালিকা তৈরি করেছে। কিন্তু সে সময় তিনিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে মুখের উপর জবাব দেওয়া ১৯৭১ সালে ভারতের কাছে যদি জলভাত হয়ে থাকে, এখন তাদের দোসর ইসলামিক সন্ত্রাসীদের গুঁড়িয়ে দিতে ভারতের কাছে চা পানের সময় থেকেও কম সময় লাগবে। কিন্তু ভারত কখনোই চায় না দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হোক। বরাবরই প্রতিবেশী সুলভ আচরণে বিশ্বাসী ভারত। কিন্তু ভাতরে এই মানসিকতাকে দুর্বলতা ভেবে বাংলাদেশে যেভাবে ভারত বিরোধী স্লোগান উঠছে, আন্দোলন তেজী হচ্ছে, এটাকে প্রশ্রয় দেওয়াও ভয়ংকর হবে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে যথাসময়ে ভারত জবাব দেবে বলেও রতনবাবু এ দিন জানিয়েছেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন বিশ্বনেতা। তিনি বলেন, যে কথা পাকিস্তান কিংবা চিন দুঃস্বপ্নেও ভাবে না, সেটা ভাবছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে ঢাকার রাস্তায় মিছিল করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও জওয়ানেরা হুংকার দিয়েছে যে কলকাতা, আসাম, ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি ছিনিয়ে নেওয়া হবে। তারা বলেন, দেশের জন্য ফের অস্ত্র ধরতে পারি। কলকাতা ও আগরতলায় যথাক্রমে বাংলাদেশের উপ দূতাবাস ও সহকারী দূতাবাসের উপর হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সুর চরমে উঠেছে। শুধু তাই নয়, চার দিনের মধ্যে আগরতলা ও কলকাতা দখলের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ।বলেছে, ভারতের চেয়ে অতি শক্তিধর দেশ বাংলাদেশ।আমাদের ক্ষমতা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত একাংশ সেনাকর্মী ও আধিকারিকের এই বক্তব্যকে পাগলের প্রলাব বলেও অভিহিত করেছেন মন্ত্রী। তার মতে তাদের বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে। বাংলাদেশ লাগাতার হিন্দু নির্যাতন এবং হিন্দুসন্ত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর যেভাবে প্রায় বিনা বিচারে আটকে রেখেছে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি সহ হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন।