যমজ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের সাহায্য চান মা।
অনলাইন প্রতিনিধি || ব্রঙ্কাইটিস ৬৫ নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাঁচার জন্য জীবনের সাথে লড়াই করছে ১০ বছরের দুই যমজ বোন। জীবন বাঁচিয়ে রাখতে ২৪ ঘন্টা অক্সিজেন সিলিণ্ডার ব্যবহার করে যেতে হচ্ছে তাদের। দুই বোনের দুটি অক্সিজেন সিলিণ্ডার ব্যবহার করতে হচ্ছে।এই ঘটনা মোহনপুরের দক্ষিণ তারানগর এলাকায়। ১০ বছরের দিয়া দাস ও নমিতা দাস, এই দুই যমজ কন্যাসন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে কাতর কণ্ঠে মা রত্না দাস রাজ্য সরকারের কাছে দুই সন্তানের প্রাণ রক্ষায় সহযোগিতা চাইলেন। দুই সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত দুই সন্তানের মা রত্না দাস জানান, প্রতিদিন অক্সিজেনের চার সিলিণ্ডার ব্যবহার করতে হয় দুই বাচ্চার জন্য।স্বামী দীপক দাস একজন মাংস বিক্রেতা। এই উপার্জনের উপর সংসার চলছে এবং বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ক্রয় করা হচ্ছে। প্রতিদিন এই খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গৃহবধূ রত্না দাস বলেন, জন্মের পর থেকেই পুরোপুরি সুস্থতার সাথে বড় হচ্ছিল যমজ দুই কন্যা। বয়স সাড়ে তিন বছর থেকে হঠাৎ তাদের প্রায়শই সর্দি কাশি ও জ্বর হতো। আগরতলা জিবি হাসপাতালের চিকিৎসার পর, হাপানিয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করানো হয়।সেখানে চিকিৎসকরা বহি:রাজ্যের চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। তখন সম্পত্তি বিক্রি করে বহি:রাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেয় দুই সন্তানের ব্রঙ্কাইটিস ৬৫ নামক জটিল রোগ হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হওয়ার মতো এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই।তবে সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রতিদিন অক্সিজেন জোগান দিতে হবে এবং সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তাই কাতর কণ্ঠে আক্রান্ত শিশুদের মায়ের আবেদন রাজ্য সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দুই সন্তানকে রক্ষা করতে। কেন না, দুই সন্তানকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়েছে। বর্তমানে মাংস বিক্রি করে স্বামী সংসারের ভরণপোষণ ও বাচ্চাদের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে। মা রত্না দাস দুই সন্তান বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য প্রার্থনা করছেন।