যুবকদের হাতে দলের নেতৃত্ব ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত সিপিএম!!

 যুবকদের হাতে দলের নেতৃত্ব ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত সিপিএম!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য নেতৃত্বে যুবাদের, আনা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সিপিএম ত্রিপুরা নেতৃত্ব।কেন রাজ্য নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মকে আনতে এতো অনীহা রাজ্যে?এ নিয়ে আজ অনুষ্ঠিত সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকেও কোন উত্তর মিলল না।উল্টো বৈঠকে বুড়ো নেতৃত্বদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা ও যুবকদের দায়িত্ব প্রদানকে ঘিরে রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে যান।ফলে এক প্রকার বাক বিতর্কের মধ্যে এদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক সমাপ্ত হয় বলে সিপিএম সূত্রে খবর।
আজ মেলারমাঠ দলের রাজ্য দপ্তরে আয়োজিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, মানিক দে
অঘোর দেববর্মা, রমা দাস, রাধাচরণ দেববর্মা, পবিত্র কর, সুধন দাস, রতন ভৌমিক, নরেশ জমাতিয়া, তপন চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিপিএম সূত্রে খবর, বিধানসভা, লোকসভা, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের নৈরাশ্য কাটিয়ে আবারও ভোট ব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে রাজ্য নেতৃত্বদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নিদান দিয়ে গেলেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব, পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ এনে রাজ্যেও ঘুরে দাঁড়ানো সহ ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্যে যুব নেতৃত্বকে দায়িত্বে আনার মতামত দেন।এমনকী ত্রিপুরা সিপিএমে শুদ্ধিকরণের বার্তা দিয়ে যান।শুধু গত নির্বাচনের ব্যর্থতা- কাজকর্ম নয়, ২০১৮ সাল থেকে একের পর এক নির্বাচনে কেন এতো বিপুল পরিমাণে পার্টি মেম্বার থাকার পরও এর প্রতিফলন ভোটবাক্সে আসছে না-এ বিষয়টিও পর্যালোচনার
নির্দেশ দিলেন।তার মতে যদি বর্তমান সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী যুব নেতৃত্বকে তুলে না আনা হয় তবে আগামীদিনে রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানো এতো সহজ হবে না তা রাজ্য নেতৃত্বকে বুঝতে হবে।
এদিনের বৈঠকে গত তিনমাসে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বর্তমান বন্যার পরিস্থিতি, দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। আজকের বৈঠকে ঘরে বসে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ছেড়ে,রাজপথে নেমে প্রতিবাদ আন্দোলন, বাড়ি বাড়ি প্রচার, ঘরোয়া সভা, উঠান সভা, পথ সভার উপর জোর দেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যারা বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষপদে বসে আছে তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের পরামর্শ দেন। এদিনের বৈঠকে যুব নেতৃত্বকে দায়িত্ব প্রদানের জন্যে সিপিএম বাজ সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী পবিত্র কর- ও মতামত জানান।সিপিএম সূত্রে খবর, এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে রাজ্য কমিটির বৈঠকে উল্টো সুরে কথা বলেন রাজ্য বামফ্রন্টের বুড়ো এক শীর্ষ নেতৃত্ব, সিট্যু নেতৃত্ব, জিএমপি নেতৃত্ব। এরা সবাই দলের শীর্ষ স্থান দখল করে আছেন।তবে তাদের আন্দোলন শুধুমাত্র রাজধানীতে সীমাবদ্ধ। অথচ এই বুড়ো নেতৃত্বদের রাজ্যের গ্রাম ও পাহাড়ে কোন অস্তিত্ব নেই।এরপরও বুড়ো নেতৃত্ব বছরের পর বছর একই পদে বসে আছেন।আর উল্টোদিকে দলের ভোটব্যাঙ্ক ৫৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২১ শতাংশে। আর উপজাতি সংরক্ষিত ২০ টি আসনে ভোটব্যাঙ্ক শূন্য হয়ে গিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বুড়ো নেতৃত্বদের শীর্ষ পদ ছাড়ার জন্য এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকে বার্তা দিলেন বিমান, মানিক, জিতেনবাবুরা বলে সিপিএম সূত্রে খবর।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.