অনলাইন প্রতিনিধি:-রাজ্যে অপরাধ দমনে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ আগেই গঠন করা হয়েছে। এবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের অধীন ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ এসটিএফ গঠন করা হয়েছে।এই বিশেষ উদ্যোগের কথা মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা শনিবারই নিজের সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে অবহিত করেছেন। ইকনোমিক অফেন্সের এসপি সুদীপ্ত দাস (আইপিএস)-কে এসটিএফ-এর মাথায় বসিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।এই টিমে অভিজ্ঞ এবং বাছাই করা পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি ঘোষণা হতেই রাজ্যের আমজনতার মধ্যে খুশি লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে অনেকে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন এবং এটাকে শুভ উদ্যোগ বলে দাবি করেছেন।এদিকে, এসটিএফ গঠন করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট ও দৃঢ়তার সাথে বলেন,রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। যেকোনও ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করতে চাইছে। সেই লক্ষ্য নিয়েই এসটিএফ গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর থেকে বেশকিছু . বিষয় আমাদের নজরে আসছে। অনেকের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগও জানানো হয়েছিলো। এখন অনেকটাই কমেছে, তারপরও কিছু কিছু জায়গায় এখনও নানা অপরাধের ঘটনা ঘটে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার এবং দলের পক্ষ থেকেও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছি।যারাই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হবে, অপরাধ করবে –কাউকেই ছাড়া হবে না। এসটিএফ টিমকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,যেখানেই কোনও ঘটনা ঘটবে,আইনের মাধ্যমে কড়া ব্যবস্থা নিতে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজে যত অপরাধ হয়, এর নব্বই শতাংশ ঘটনার পিছনে রয়েছে অর্থ। বেআইনিভাবে অর্থ রোজগারকে সামনে রেখে একের পর এক অপরাধ হয়।সময়ের নিরিখে অপরাধের পদ্ধতি এবং সংজ্ঞা দুটোই পাল্টে গেছে। তোলাবাজি, নিগোসিয়েশন, জমির দালালি যা আবার জমি মাফিয়া নামে পরিচিত,ড্রাগস মাফিয়া,সিণ্ডিকেট মাফিয়া, সংঘবদ্ধ অপরাধ আরও নানান নামে অপরাধ করছে দুষ্কৃতীরা। এই সব অপরাধ কিন্তু আগে এই রাজ্যে ছিলো না।এগুলো বাম জমানায় আমদানি হয়েছে।সেই সংস্কৃতি এখনও বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।কিন্তু আমরা এসব কিছুতেই বরদাস্ত করবো না, স্পষ্টভাবেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধ দমনে পুলিশের এসটিএফ গঠনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুর্নীতি ও অপরাধী মহলেও এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেননা,উত্তরপ্রদেশে মাফিয়ারাজ ও অপরাধ দমনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এসটিএফ গঠন করে অপরাধীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন।ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহাও কি ওই পথে হাঁটতে চাইছেন?এই প্রশ্ন কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।কেননা, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা উত্তরপ্রদেশ গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাথে সাক্ষাৎ করে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লী হয়ে রাজ্যে ফিরেই গঠন করেছেন পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। স্বাভাবিকভাবেই এসটিএফ গঠন নিয়ে লখনৌর যোগসূত্র রয়েছে কিনা?তা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…