রক্তপাত ছাড়াই কেটে বাদ পুরো জিভ, টেক্সাসে রহস্যময় মৃত্যু একের পর এক গরুর
মুখের একপাশের চামড়া তুলে নেওয়া হয়েছে, তবে তার নিচে থাকা মাংসে একটা কাটা দাগ পর্যন্ত নেই। জিভ সম্পূর্ণরূপে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর পুরো কাজটা এতটাই সূক্ষ্মতার সঙ্গে করা হয়েছে যে, এতটুকু রক্তপাত রক্তপাত ঘটেনি। আশপাশের এলাকা দেখে বোঝা যাচ্ছে কোনওরকম সংঘর্ষও ঘটেনি। এই রকম রহস্যময় পরিস্থিতিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশে গত কয়েকদিনে একের পর এক গরুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি- দুটি নয়, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ছয়টি। কীভাবে ওই ছয়টি গরুকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের দেহ বিকৃত করা হয়েছে, এই নিয়ে ধন্দে পড়েছে টেক্সাস কর্তৃপক্ষ। এই জটিল রহস্যের কোনও সমাধান এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি তারা।ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে গত বুধবার অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল। ম্যাডিসন কাউন্টিতে একটি হাইওয়ের পাশে একটি ছয় বছর বয়সি লংহর্ন ক্রস গরুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। কাউন্টির শেরিফের কার্যালয়ের এক সমাজ মাধ্যমে পোস্ট অনুসারে, দারুণ সূক্ষ্মতার সঙ্গে গরুটির মুখের একপাশের চামড়ার আবরণ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। নিচে থাকা মাংসের স্তরে অবশ্য সামান্য কাটার চিহ্নও ছিল না। কোনও রক্তপাত ছাড়াই শরীর থেকে জিভ সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল। প্রাণীটির চারপাশের ঘাস একেবারে অক্ষত ছিল,কোনও লড়াইয়ের চিহ্ন ছিল না।ওই এলাকায় কোন টায়ারের ছাপ বা কারও পায়ের ছাপও ছিল না বলে জানিয়েছে শেরিফের দফতরের গোয়েন্দা কর্তারা।এই ঘটনার পর, পরপর পাঁচটি গরুর দেহ একইভাবে পাওয়া গিয়েছে। কোনও একটি নির্দিষ্ট স্থানে নয়, টেক্সাসের বিভিন্ন স্থান থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সবকটি ক্ষেত্রেই গরগুলির জিভ সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া হয়েছে। একপাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। চোয়ালের রেখা বরাবর চামড়া কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং রক্ত বা কোনও অস্থিরতার চিহ্ন মাত্র ছিল না। কর্তৃপক্ষের মতে, দুটি গরুর ক্ষেত্রে দেহে কিছু অস্বাভাবিক চিহ্ন ছিল। মলদ্বার এবং বাহ্যিক যৌনাঙ্গ অপসারণের জন্য বৃত্তাকারভাবে তাদের দেহ কাটা হয়েছিল। কিন্তু, গরুগুলির মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ফুলডাঙা গ্রামে গত ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে। তখন দু’টি গরুকে জিভ কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুই আদিবাসী মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নির্মমভাবে পশুহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল টেক্সাসে। তবে প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দার মনে করছেন একশ্রেণির মুসলিম সংগঠন এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। কারণ ঈদের আগে মুসলিমদের খাদ্য তালিকায় গরুর জিভের কদর সবথেকে বেশি থাকে। তাই হয়তো এই নির্মম হত্যা। যদিও তদন্তের রিপোর্ট না আসার আগে পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছে শেরিফের দফতর।