রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
রঞ্জিতে রেলের ধাক্কায় বিধ্বস্ত ত্রিপুরা
দুর্ভাগ্য সুদীপ চ্যাটার্জীর। তার অসাধারণ শতরান (১৬৫)। সহঅধিনায়ক রজত দের অর্ধশতরান (৮৯) এবং অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহার ৫৩ ও বিক্রম কুমার দাসের ৬২ রান। কারোর ইনিংসই রেলওয়ের বিরুদ্ধে দলের পরাজয় রুখতে পারলো না। ২৪১ রানের ঘাটতি নিয়ে টিম ত্রিপুরা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯.৫ ওভার ব্যাট করে ৪৪৯ রান করেও রেলওয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাঁচাতে পারলো না। সুরাটে আজ খেলার চতুর্থ তথা শেষ দিনে দলের শেষ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর রেলওয়ের সামনে ম্যাচ জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ২০৯ রানের। এর জন্য ওভার ৪২। রেলওয়ে ৪০.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে জিতে নেয়। সেই সাথে ম্যাচের পুরো ৬ পয়েন্টে ও পকেটস্থ করে নেয়। কয়েকদিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে আড়াই দিনে ম্যাচ জিতলে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে অবশ্য রীতিমতো লড়াই করেই কর্ণ শর্মাদের ম্যাচ জিততে হলো। দুর্ভাগ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করার পর ম্যাচ থেকে এই পয়েন্টও তুলতে পারলোনা দল। তবে বুঝে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং নিয়েছিল টিম ত্রিপুরা তা কিন্তু আজও বোঝা গেল না।তবে প্রতিপক্ষ দলের অভিজ্ঞ স্পিনাররা ত্রিপুরার প্রথম ইনিংস ৯৬-এ শেষ করে দিলেও রেলওয়ের কোনও ইনিংসেই ত্রিপুরার দুই স্পিনার ন্যূনতম সমীহ আদায় করতে পারলো। ভিকি সাহাকে হঠাৎ কী মনে করে কিংবা কী দেখে একেবারে রঞ্জিতে নিয়ে নিলেন তা কিন্তু কারোরই বোধগম্য হলো না। রেলওয়ের দুই ইনিংসে একবারও তার বোলিং প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে বলে মনে হয় না। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে একটা উইকেট পেলো ভিকি।ঘরের বাইরে রঞ্জি ট্রফিতে এটি ত্রিপুরার দ্বিতীয় পরাজয়। নাগপুরে বিদর্ভ,আজ সুরাটে রেলওয়ের কাছে পরাজিত হালো। তবে দল ম্যাচে হারায় সুদীপের শতরান বিফলে গেলো। দাম পেলো না রজতের লড়াকু ৮৯ রানের ইনিংসটিও। তবে রজতের শতরান পাওয়া উচিত ছিলো। তার আগে আজ টিম ত্রিপুরা ৩০৪/8 র নিয়ে খেলা শুরু করে। সুদীপ গতকালই শতরান তুলে নিয়েছিলো। অপেক্ষা ছিল রজতের শতরানটি। কিন্তু ৮৯ রানের মাথায় যাদবের বলে আউট হতেই রজতের রঞ্জিতে এই মরশুমের প্রথম শতরান করার স্বপ্ন ভেঙে যায় । ২১২ বলে ৮৯ রান করতে রজত ১০টি চার মারে। রজত সুদীপ জুটি ৪০১ বলে ৫ ম উইকেটে মূল্যবান ২১০ রান যোগ করে । রজত আউট হলে অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সুদীপের সঙ্গে জুটি বাঁধে। এই জুটিতে দলীয় স্কোর ৪২২/৬ পৌঁছে। সুদীপ ২৯৭ বল খেলে ১৬৫ রান তুলে। তার ইনিংসে ১৭টি চার ছিল। আকাশ পাণ্ডে সুদীপের উইকেটটি পায়। সুদীপ আউট হলে ঋদ্ধিমান একদিক ধরে রাখলেও দীপক ক্ষত্রি (৯), মণিশঙ্কর মুড়াসিং ১, রানা দত্ত (২) দ্রুতই মাঠ ছাড়ে। অথচ এরা যদি সবাই কমে ৪/৫ ওভার করে খেলে দিতে পারতো তা হলে ম্যাচটা ড্র করতে পারতো দল। তাদের হয়তো সাজ ঘরে ফেরার বেশি তাড়াই ছিল। ঋদ্ধিমান ১১৬ বলে (৫৩) আকাশ পাণ্ডের বলে আউট হতেই ত্রিপুরার দ্বিতীয় ইনিংস ৪৪৯-এ থেমে যায়। ২০৮ রানের লিড নেয় ত্রিপুরা। আকাশ পাণ্ডে ১০৫/৪ ও শিবম চৌধুরী(৫২/২), কর্ণ শর্মা (৮৪/২) উইকেট পায়। রেলওয়ের সামনে ম্যাচ জয়ের জন্য টার্গেট হয় ৪২ ওভারে ২০৯ রান। রেলওয়ে ১০৬ রানে তিন উইকেট হারালেও পরে মহম্মদ সৈয়দ (৬৯) ও উপেন্দ্র যাদব (৩০) অবিচ্ছিন্ন থেকে ৯ বল বাকি থাকতে দলকে ৬ উইকেটের জয় তুলে দেয়। রানা দত্ত প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ২ উইকেট নেয়। মণিশঙ্করের এই ইনিংসও উইকেটবিহীন ছিল। পারভেজ সুলতান, ভিকি সাহা ১ টা করে উইকেট পায়।