রাজ্যসভার ৫৭ আসনের নির্বাচন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন । ক্রমেই উত্তেজনা এবং টেনশন দুইই বাড়ছে । ১০ জুনের রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় শিবিরে তুমুল আগ্রহ ও জল্পনা । বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সারপ্রাইজ । কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভিকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হয়নি । তাহলে কি তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ যাচ্ছেন ? একই প্রকাশ জাভরেকরকেও প্রার্থীপদ দেওয়া হয়নি । তাকে আগেই মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এবার সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্যসভা থেকেও । বিজেপির প্রবীণ নেতা ও পি মাথুর , দুষ্যন্ত গৌতম , মহারাষ্ট্রের আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিনয় সহস্রবুদ্ধিকেও রাজ্যসভায় আর একবার আনা হচ্ছে না । তাদের টিকিট দেওয়া হয়নি । যা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন চলছে । কারণ , আজ থেকে আট বছর বর্ষপূর্তির উৎসব শুরু হয়েছে । একদিকে যেমন বিজেপি দলগতভাবে নামতে চলেছে প্রচারে ,আবার অন্যদিকে মোদি সরকারের তাবৎ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিগত আট বছরের সাফল্যকে প্রচার করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে । সাংবাদিক সম্মেলন করতে হবে শহরে শহরে । মন্ত্রী ও এমপিদের কাটাতে হবে গ্রামগঞ্জে । সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের প্রকল্প নিয়ে প্রচার করতে হবে । এদিকে , এই রাজ্যসভায় টিকিট প্রদান ও মনোনয়ন থেকেই বার্তা পাওয়া যাচ্ছে , এরপর নরেন্দ্র মোদি সম্ভবত আবার মন্ত্রিসভার রদবদল করবেন । ২০২১ সালে শেষবার হয়েছে মন্ত্রিসভার বড়সড় রদবদল ।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বরাবরই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে , প্রতিটি মন্ত্রকের পারফরম্যান্স লক্ষ্য করা হবে । যারা ভালো কাজ করবে না , তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে । এই অবস্থায় যেহেতু ধীরে ধীরে মন্ত্রীদের রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না , তাই মনে করা হচ্ছে আগামী ১৫ জুনের পর আবার কোনও রদবদলের পথে মোদি সরকার । রাজ্যসভায় যেমন বিজেপির অনেকেই প্রার্থী হতে পারছেন না , কংগ্রেসের অন্দরেই সেই প্রবণতা । তামিলনাড়ু থেকে পি চিদাম্বরম আবার প্রার্থী হয়েছেন । তাঁকে ফিরিয়ে আনছেন সোনিয়া গান্ধী । কিন্তু জি ২৩ নামক যে বিদ্রোহী নেতারা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন , তাদের প্রতি এখনও কোনও সদয় মনোভাব দেখা যাচ্ছে না । আনন্দ শর্মা , গুলাম নবি আজাদরা ফিরতে পারছেন না । কপিল সিববালকে প্রার্থী না করায় তিনি আগে ভাগেই আভাস পেয়ে সরে গিয়েছেন । সুতরাং এখন কি ক্রমেই জি ২৩ খ্যাত বিদ্রোহীদের কংগ্রেস পিছনে রেখেই অগ্রসর হবে ? সংবাদ সংস্থা পিটিআইর খবর : ভারত এখন দুর্নীতি , স্বজন পোষণ , সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে প্রায় মুক্তির পথে হাঁটছে । নেই আঞ্চলিক বৈষম্যও। যেমনটা ছিল ২০১৪ সালের আগে । বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তার নেতৃত্বাধীন সরকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের ৮ বছর পার করে ফেলেছে । এই আট বছরের নানান সাফল্য এবার প্রচার নেবে দেশ এবং সরকার । এজন্য এক পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন , তার সরকার ৮ বছর যে পূর্ণ করছে সরকারের তা গরিব মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করা হয়েছে । এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার নেতৃত্বাধীন সরকার ৮ বছর পূরণ করায় গভীর সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন ।
একই সাথে তিনি দাবি করেছেন দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তার সরকার । একই সাথে মানুষও আত্মনির্ভর হচ্ছে । দেশ আত্মনির্ভর হচ্ছে এটা অভাবনীয় এবং নজিরবিহীন ঘটনা । এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিশুদের একটি প্রকল্প পিএম কেয়ারসের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে তার সরকারের গত আট বছরের মানুষদের কল্যাণে নেওয়া নানা প্রকল্পের কথা যেমন উল্লেখ করেছেন তেমনি তার আগের সরকারের নানা ত্রুটি গুলি তুলে ধরেন । তিনি বলেন , কোভিডকালে দেশ আত্মনির্ভর পথে অনেকটাই এগিয়েছে । বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দ্রুততম অর্থনীতি ভারতেরই বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী । বর্তমানে গোটা বিশ্ব ভারত এক সম্মানজনক অবস্থানে রয়েছে । বিশেষ করে ভারত যে নয়া বিশ্বাস এবং আস্থার অন্যতম জায়গা তা চিহ্নিত করেছে গোটা বিশ্ব । অন্যদিকে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দিন বলেন , আগে দেশে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানিক চেহারা নিয়েছিলো । হাজার কোটি টাকার ঘোটালা , স্বজন প্রীতি ইত্যাদি ছিল রোজদিনকার খবর । নেই আঞ্চলিক বৈষম্যও । ২০১৪ সালের আগে এগুলি ছিল নিয়মমাফিক,বিষয়।এছাড়া,সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বর্তমানে অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে । এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন , স্বচ্ছ ভারত মিশন , জনধন যোজনা , হরঘর জল অভিযান , ইত্যাদি মোদি সরকারের অন্যতম গরিব মুখী , কল্যাণকামী যোজনা সরকার সবার পাশে রয়েছে । এই সরকারের মূলমন্ত্রই হচ্ছে সবকা সাথ সবকা বিকাশ ।
একই সাথে সবার বিশাল ও আস্থা অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছে বিজেপি সরকার । গত আট বছরে গরিব , কৃষকদের স্বার্থে অনেক কল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্র । এ দিন দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রী বলেন , গরিব মানুষ এখন বুঝতে শুরু করেছে যে তাদের জন্যও কল্যাণকামী অনেক প্রকল্প রয়েছে । তিনি জানান , তার সরকার বর্তমানে একশ শতাংশ ক্ষমতায়নের সুনিশ্চিতকরণের জন্য কাজ করছে । প্রধানমন্ত্রী এ দিন সন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন , যুবকরা এখন দেশের নানা ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে । যুবকদের উদ্দেশে , তার বার্তা আপনাদের জীবন উৎসর্গ করেন আপনাদের স্বপ্নের পেছনে । সাফল্য অবশ্যই ধরা দেবে আপনাদের কাছে । এদিকে , বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে মোদি সরকারের আট বছরের নানা সাফল্য তুলে ধরেন । তার দাবি সেবা , সুশাসন এবং গরিব কল্যাণ এই তিনটি মত বিনিময় মোদি সরকার এগিয়ে চলেছে । এবং এটিই মোদি সরকারের আশা । এ দিন আট বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি থিম গানও প্রকাশ করেন জেপি নাড্ডা । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী , ধর্মেন্দ্র প্রধান , অনুরাগ ঠাকুর প্রমুখ ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…