জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন । বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কার্যকালের মেয়াদ আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে । তার আগেই ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচন হবে । আর ২১ তারিখ হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশ । অর্থাৎ দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন সেটা আগামী ২১ তারিখই জেনে যাবে দেশ । আর নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন আগামী ২৫ জুলাই । নতুন রাষ্ট্রপতি বাছাইয়ের জন্য এবার নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে কি না , কিংবা শাসক এবং বিরোধীরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি স্থির করবেন কি না সেটা যদিও এখনও পরিষ্কার নয় ।
তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা বড়সড় তৎপরতা যে শুরু হয়ে গেছে তার আঁচ কিন্তু বেশ ভালোই অনুভব করছেন রাজনৈতিক মহল । সাম্প্রতিক জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের তৎপরতা সেটা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে । যদিও শাসকদল বিজেপি , রাষ্ট্রপতি পদে কাকে তুলে ধরবেন সেটা মোদি – শাহ জুটি অনেক আগেই যে স্থির করে নিয়েছেন সেটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্রেই ইঙ্গিত মিলছে । পাশাপাশি বিরোধীরা সেই তুলনায় অনেকটাই পেছনে । যদিও বিরোধীরা বিগত বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ , দৌড়ঝাপ এবং নিজেদের মধ্যে সহমত গড়তে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন । কিন্তু এখনও সেই অর্থে নিজেদের মধ্যে সার্বিক ঐক্যের চেহারা গড়ে তুলতে পারেননি । তবে বিজেপিকে যে বিরোধীরা একেবারেই ফাঁকা মাঠে গোল দিতে ছেড়ে দেবেন না সেটা কংগ্রেস নেতাদের আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার গতি প্রকৃতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।
আসলে বিরোধী জোটের উদ্যোগটা কেন ? কারণ এক্ষেত্রে পরিষ্কার , ২০২৪ সালে দেশে লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে পরাস্ত করতে গেলে এখন থেকেই একটি অ – বিজেপি জোটের প্রস্তুতি গড়ে তুলতে হবে । যা দেশের মানুষের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য এবং যুক্তিবোধ্য গ্রহণযোগ্য হিসাবে আস্থা অর্জন করতে পারে । আর সেটা তখনই সম্ভব যদি লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে একটা ঐক্যের বার্তা সাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারে । সেদিক থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন একটা অ্যাসিড টেস্ট । রাষ্ট্রপতির নির্বাচনে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা এবং সমস্ত রাজ্যের বিধায়করা ভোট দেন । সম্প্রতি ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ৪ রাজ্যেই বিজেপি জয়ী হয়ে আসার পর যে রাজনৈতিক সমীকরণ দাঁড়িয়েছে তাতে বিরোধী জোটের প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী করে নিয়ে আসা যথেষ্ট কঠিন ।
পরিসংখ্যান বলছে বর্তমান সময়ে ভোট শতাংশের নিরিখে শাসক ও বিরোধীর পাল্লা প্রায় সমান সমান । রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক একচ্ছত্র ভাবে জয়ী হবে অথবা বিরোধীদের জোট শাসক বিজেপিকে একেবারেই বেগ দিতে পারবে না – এর কোনও অঙ্কই এত সরলীকরণ করার অবস্থায় নেই । বিশ্লেষকরা বলছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মোট বৈধ ভোটের ৪৮.৮ শতাংশ ভোট বিজেপির দখলে রয়েছে । পক্ষান্তরে বিরোধীদের শিবিরে ভোটের পরিমাণ প্রায় ৫১.১৫ শতাংশ । কিন্তু এই ভোটকে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থীর পক্ষে নিয়ে আসতে হলে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এসআর জগনমোহন রেড্ডীর সমর্থন প্রয়োজন যা যথেষ্ট কঠিন । কারণ রেড্ডী ও নবীনকে বরাবরই মোদি – শাহ সরকারের নীরব সমর্থক হিসাবে বিবেচনা করা হয় । তবে সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় কেসিআর , বিহারের নীতিশ কুমারের গেরুয়া শিবিরের প্রতি অখুশি মনোভাব শাসক বিজেপিকে যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে । সমস্যা হলো সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সহমতের প্রশ্ন নিয়ে । তৃণমূল নেত্রী বহু আগেই বলে দিয়েছেন কংগ্রেসের বাইরের কাউকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হলে সমস্যা নেই ।
শিবসেনা বহু আগেই এই পদে শারদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছে । তৃণমূল নেত্রীর এই নামে আপত্তি নেই । কিন্তু নির্বাচনে জয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে পাওয়ার নিজে রাজি হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে খোদ কংগ্রেস নেতৃত্ব । আবার সম্প্রতি জগনমোহন রেড্ডী ও নবীন পট্টনায়েক দিল্লীতে গিয়ে যেভাবে মোদির ঘনিষ্ঠতায় এসেছেন তাতে এই সম্মিলিত বিরোধী জোটে দুই নেতাকে কতটা পাওয়া যাবে সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে । তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষনার পর সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের বাইরে কোনও অবিজেপি নেতাকে প্রার্থী করার বিষয়ে সম্মিলিত বিরোধী নেতাদের কাছে যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী । এক্ষেত্রে কংগ্রেসের নরম অবস্থানে কোনও অ – কংগ্রেসি অবিজেপি মুখ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলের সম্মিলিত প্রার্থী হলে খেলা যে অনেকটা ঘুরে যেতে পারে সেই সম্পর্কে যথেষ্ট আশাবাদী বিরোধীরা । সেই হিসাবে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যে অনেকটাই জমজমাট হতে চলেছে তা আশা করা যেতেই পারে ।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…