রাজধানীতে উদযাপিত জাতীয় যুব দিবস

১৯৮৪ সালে যুবাদের স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে ভারত সরকার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি দিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এরপর থেকেই প্রতি বছর বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীকে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে উদযাপন করা হয়।

গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও শুক্রবার উদযাপন করা হলো জাতীয় যুব দিবস ২০২৪। এদিন মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, মন্ত্রী সুধাংশু দাস, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্যরা। উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এদিন যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য ও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়াও পিএমইজিপি ও স্বাবলম্বী প্রকল্পের অধীনে ১৩টি ব্যাঙ্ক থেকে মোট ২৫.৮২ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হয় এ রাজ্যের স্বাবলম্বী যুবক যুবতীদের। পাশাপাশি ভবন প্রাঙ্গনে ত্রিপুরা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ৫০ টি প্রদর্শনী স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজ্য ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান যুব সমাজের প্রতি। এছাড়াও তিনি বলেন, খেলার মাধ্যমে শুধু শারীরিক শক্তিই নয়, মানসিক শক্তিও বৃদ্ধি পায়। এবং নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই মুখ্যমন্ত্রী যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হওয়ার আহবান জানান। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। মূল অনুষ্ঠান শেষে ভবন প্রাঙ্গনে সচেতনতা মূলক স্টলগুলো পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
