রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!
অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রী
ডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতে ফের রাজধানীতে চাঁদা নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে গেলো। এবার অভিযোেগ আগরতলা শিবসাগর এলাকার উদীচি ক্লাবের বিরুদ্ধে।যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি,ক্লাবের সুনাম নষ্ট করতে এবং ক্লাবকে বদনাম করতেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ঘিরে এখন সরগরম রাজধানী।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সাত সকালে।উদীচি ক্লাবের সম্পাদক সহ কয়েকজন এলাকার বাসিন্দা জনৈক ডা. প্রীতম দেবরায়ের বাড়িতে যায় দুর্গাপুজোর চাঁদা আদায়ের জন্য।দেবরায় পরিবারের অভিযোগ,ক্লাব দেড় হাজার টাকা চাঁদা ধার্য করে।সেই সাথে গত বছরের বকেয়া চাঁদাও একসাথে দাবি করে।পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়,পাঁচশ টাকার বেশি তারা চাঁদা দিতে পারবে না। ক্লাব সদস্যরা বলে পুরো টাকাই দিতে হবে,নতুবা এই এলাকায় থাকতে পারবে না বলে হুমকি দেয়।এই নিয়ে বচসা শুরু হয়।পরিবারের পক্ষে পুরো ঘটনা এবং কথাবার্তা মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে।এতে বাধা দেয় ক্লাব সদস্যরা।এই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।ক্লাব সদস্যরা শ্রী দেবরায়ের বয়স্ক মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ এবং শ্রী দেবরায়ের ছোট ভাইকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শ্রী দেবরায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পাল্টা ময়দানে নামে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে দেবরায় পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলে।ক্লাবের সম্পাদকের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ক্লাবের বক্তব্য, চাঁদা নিয়ে কোনও হুমকি বা জোর জুলুম করা হয়নি। পাড়ায় থেকে ক্লাবকে বদনাম করতেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিকেলে পাড়ার মহিলা সহ এলাকাবাসী পূর্ব থানায় জড়ো হয়। দেবরায় পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। একই সাথে ক্লাবের সম্পাদককে মারধর করার জন্য দেবরায় পরিবারের দুই ছেলেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।এই ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা কি হবে? সেটাই এখন দেখার।
চাঁদার জুলুমের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।সেই হুঁশিয়ারিকে কতটা তোয়াক্কা করা হচ্ছে, তা এসব ঘটনা থেকে স্পষ্ট। বিভিন্ন এলাকায় চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি চলছেই।সব ক্ষেত্রে অভিযোগ সামনে আসে না। সাধারণ মানুষ ঝামেলা এড়াতে মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়।এখন যা চলছে,তা চাঁদার নামে তোলাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।