রাজধানীতে সিপিএমের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম ও দপ্তরের পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে।এই কারণে,রাজ্যে ৪০ শতাংশ গ্রাহকের উপর আর্থিক বোঝা চাপছে ক্রমান্বয়ে।মূলত এই গ্রাহকদের দেওয়া রাজস্বের ভিত্তিতেই চলছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম।আর বাকি প্রায় ৬০ শতাংশ গ্রাহকের কাছে নিগম কার্যত পৌঁছতেই পারছে না। তাদের মাসিক বিল পর্যন্ত দিতে পারছে না।রাজ্য সরকার কারণ রাজ্যে ৬০ শতাংশের মতো গ্রাহকের মাসিক বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া হয়ে আছে।এর মধ্যে আবার ৫০ শতাংশ গ্রাহকের মিটার পর্যন্ত বন্ধ।তবে এক অদৃশ্য কারণে এই অকেজো মিটারগুলি সংস্কার করছে না রাজ্য সরকার,নতুন মিটার ক্রয় তো দিবাস্বপ্ন।এই সমস্যা শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে।আর রাজ্য সরকারের এই ব্যর্থতার জন্য ত্রিপুরায় বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হচ্ছে।বিপাকে পড়ছেন রাজ্যের প্রায় ৯ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক।সোমবার ঠিক এভাবেই রাজ্য সরকার, বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে।
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে রাজধানীতে আজ বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করেছে সিপিএম। এদিন আকাশবানী সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।এরপর শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রাজধানীর ভূতুড়িয়া এলাকাস্থিত বিদ্যুৎ নিগমের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সভায় মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সভায় মানিক দে বলেন ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত
রাজ্য ছিল ত্রিপুরা।ওই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ
করে নিগমের ১২ কোটি টাকা নিট লাভ হতো।এর জন্যে রাজ্যে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি হয়নি।উল্টো রাজ্যের গ্রাহকরা বিভিন্ন ছাড়ের সুযোগেরও অধিকারী ছিলেন।তবে ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তনের পর প্রায় প্রত্যেক ছয় মাসে বিদ্যুতের বিল এক প্রকার লুকিয়ে বাড়াচ্ছে সরকার।এখন আবার ৭.১৫ শতাংশ হারে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করে দিল রাজ্য সরকার।এরা রাতের আঁধারে, ফিক্সড চার্জ,স্লেভ গুলির দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে।এখন আবার নতুন করে স্মার্ট মিটার বসানোর নামেও গ্রাহকদের পকেট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজ্যে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয়নি। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখলের পর বিদ্যুতের মাশুল তিন-গুণ বৃদ্ধি হয়েছে।
মানিক দে-র অভিযোগ-এর মূলে একমাত্র রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা।এখন এক কোম্পানি নিগমের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা না দিয়ে রাজ্য থেকে পালাচ্ছে।শোনা যাচ্ছে আরেকটি কোম্পানিও কোটি কোটি টাকা না দিয়ে পালানোর জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।অথচ এদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে না রাজ্য সরকার।উল্টো এদের পাপের বোঝা রাজ্যের গ্রাহকদের উপর চাপানো হচ্ছে।বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করে এই কোটি কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
তিনি বলেন,রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর অন্তর্জলি যাত্রার পথে। একটি লাভবান দপ্তর এখন নাকি আর্থিক দৈন্যদশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।এটা কেন মানবেন রাজ্যবাসী।গত সাড়ে ৬ বছরে বিদ্যুৎ দপ্তরের জন্য একটি নতুন পাকাবাড়ি পর্যন্ত তৈরি করতে পারলো না রাজ্য সরকার।যা আছে সব কিছু বামফ্রন্ট সরকারের তৈরি করা। এরা সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে।
গত সাড়ে ৬ বছরে এরা ইঞ্জিনীয়ার, লাইনম্যান, সহ অন্যান্য কর্মচারী পর্যন্ত নিয়োগ করলেন না।শুধুমাত্র চুক্তিবদ্ধ নিয়োগের নামে বেকার ঠকানো হচ্ছে।এর বিরুদ্ধে রাজ্যের সকল স্তরের মানুষকে তিনি আগামী ৩ অক্টোবর রাজপথে নামার আহ্বন জানান। তার অভিযোগ বিজেপি সরকার জনবিরোধী।এদিনের বিক্ষোভ সভায় অমল চক্রবর্তী সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Dainik Digital

Recent Posts

কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হানা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলে পড়ল জঙ্গিরা। কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি…

12 hours ago

রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি নিয়ে নীতিন সাক্ষাতে বিপ্লব!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- জাতীয় সড়ক এনএইচ-৮ -এর ভগ্নাবস্থায় বিভিন্ন অংশ দ্রুত সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের…

16 hours ago

ধান উৎপাদনে দেশে ষষ্ঠ স্থানে ত্রিপুরা, জমি ফেলে রাখবেন না কৃষকদের আহ্বান রতনের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গ্রাম হলো আমাদের শক্তি,কৃষক আমাদের অন্নদাতা' এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রকে…

16 hours ago

এবার কি ইউসিসি?

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা।তিন তালাক প্রথা বাতিল।নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ (সিএএ)। ওয়াকফ…

16 hours ago

ধস নেমে চলাচল বন্ধ জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রচন্ড বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলা…

2 days ago

না ফেরার দেশে পোপ ফ্রান্সিস!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের সোমবার মৃত্য হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।দক্ষিণ…

2 days ago