রাজনৈতিক দলগুলির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপর কমিশন

 রাজনৈতিক দলগুলির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপর কমিশন
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের মধ্যে যে আভ্যন্তরীণ বিবাদ তা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিণ্ডে কোন গোষ্ঠী আসল – শিবসেনা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোর্ট বসেছিল।সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দেয়, আসল শিবসেনা হচ্ছে একনাথ শিণ্ডের পরিচালিত শিবসেনা গোষ্ঠী। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এ মর্মে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এবার লোকজনশক্তি পার্টির নিজেদের মধ্যে যে আভ্যন্তরীণ বিবাদ চলছে তা মিটিয়ে ফেলার জন্য উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন।রামবিলাস পাশোয়ান এই পার্টির কর্ণধার ছিলেন।
তার মৃত্যুর পর পুত্র চিরাগ পাশোয়ান এবং ভাই পশুপতি কুমার পরশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় দলের কর্তৃত্ব নিয়ে।গত ২ অক্টোবর ২০২১ এলজেপির দুই বিবদমান গোষ্ঠীকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন তাদের উভয় গোষ্ঠীকেই তাদের প্রতীক ব্যবহার করতে নিষেধ করে। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় কোনও সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, উভয় বিবদমান গোষ্ঠীই নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও সময় দাবি করেছে । উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই মহারাষ্ট্রের বি একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা জানিয়ে দিয়ে তাদের জন্য প্রতীক ‘তির ধনুক’ বরাদ্দ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।সংবিধানের ৩২৪ ধারা মোতাবেক কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আভ্যন্তরীণ মতভেদ দেখা দিলে তা মীমাংসা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর বর্তাবে বলে জানানো হয়।২০১৭ সালের গোড়াতেও সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদব এবং তার পুত্র অখিলেশ যাদবের মধ্যে বিবাদ নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত যায়। পরবর্তী সময় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অখিলেশ সিং যাদবের জন্য সাইকেল প্রতীক বরাদ্দ হয়।মূলত সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং পরিষদীয় দলের নিরিখে কতজন বিধায়কের সমর্থন এই গোষ্ঠীর কাছে রয়েছে তা গোচরে নিয়ে আসে নির্বাচন কমিশন। এরপরই নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.