অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের বিদ্যুৎ ভোক্তাদের প্রতিমাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ।রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখতে গ্রাহকদের যথা সময়ে বিল পরিশোধ করা নৈতিক দায়িত্ব এবং অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেন মন্ত্রী শ্রী নাথ। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বিধায়ক ভগবান দাসের উত্থাপিত একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের বিবৃতি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী এই দাবি করেন।এই প্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে বলেন, রাজ্যে বহু বিদ্যুৎ গ্রাহক আছেন,যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, অথচ বিল পরিশোধ করছে না।এই তালিকায় সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং
জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অধিকাংশই বিরোধী দল সিপিআইএমের পার্টি অফিস।এ দিন বিধানসভায় এমন বেশ কিছু তথ্য ফাঁস করেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
বিধানসভায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করবুক সিপিএম পার্টি অফিসের ৮১টি বিল বকেয়া।এছাড়াও সিপিএম দলের মেলাঘর তেলকাজলা ব্রাঞ্চ অফিসের ৫০টি বিল, বিলাসছড়া পার্টি অফিস বারোটি, বিলোনীয়া গাবুরছড়া পার্টি অফিস পঞ্চাশটি, চিত্তামারা সিপিএম পার্টি অফিস পঞ্চাশটি, খোয়াই দুর্গানগর সিপিএম পার্টি অফিস পঞ্চাশটি, মনু লোকাল কমিটি পঞ্চাশটি, খাস কল্যাণপুর সিপিএম পার্টি অফিস ৬৯টি, বিলোনীয়া বরোজ কলোনি সিপিএম পার্টি অফিস পঞ্চশটি, ধলাই শান্তিরবাজার সিপিএম পার্টি অফিস সত্তরটি, জয়পুর সিপিএম পার্টি অফিস একান্নটি, সোনাইমুড়ি অঞ্চল কমিটি একান্নটি, বিলোনীয়া কলেজ স্কয়ার সিপিএম পার্টি অফিস পঞ্চাশটি, নলুয়া সিপিএম পার্টি অফিস ৪৩টি, ধর্মনগর নয়াপাড়া সিপিএম পার্টি অফিস ৪৩টি, অম্পিবাজার সিপিএম পার্টি অফিস ৪০টি, মেলাধর চণ্ডীগড় সিপিএম পার্টি অফিস ২০টি, আড়ালিয়া সিপিএম পার্টি অফিস ৩৭টি।এছাড়া কমলপুর মরাছড়া বিজেপি পার্টি অফিস ৩৯টি। রাজনগর বাজার কংগ্রেস পার্টি অফিস ১১৭টি।এই তালিকায় অনেক জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন।এই তালিকায় রাজধানীর বনমালীপুর কেন্দ্রের এক কংগ্রেস নেতার ৫১টি বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও রয়েছে।
এ দিন বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ মাশুল নিগম বা রাজ্য সরকার কেউই নির্ধারণ করে না।এটা করে রেগুলেটরি কমিশন।দ্য ইলেক্ট্রিসিটি অ্যাক্ট ২০০৩ এই আইনের রুলস ৬২ এবং ৮৬ মোতাবেক।এর আগে বিদ্যুৎ নিগম প্রস্তার রাখে। প্রস্তাব মোতাবেক দাবি ও আপত্তি জানানোর জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।এবারও আটটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া ইয়েছে। রাজ্যে প্রায় দশ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র তিন জন গ্রাহক দাবি এবং আপত্তি জানাতে আসে। অথচ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একটিও ‘আবেদন জমা পড়েনি।এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা বিধানসভায় এক কথা বলে, বাইরে গিয়ে আরেক কথা বলে।মন্ত্রী বলেন,বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গ্যাসের মূল্য কম থাকা সত্ত্বেও ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৩৪ শতাংশ।অথচ ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছয় বছরে মাত্র দুই বার ১৪ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেখানে প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী বৃদ্ধি করার কথা ছিল।এখন গ্যাসের মূল্যও অনেক বেশি। বরং এই ছয় বছরের মধ্যে একবার ২০২১ সালে বিদ্যুৎ মাশুল হ্রাস করা হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, এই বৃদ্ধির ফলেও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ মাশুল সবথেকে কম। বর্তমানে আসামে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মাশুল ৮ টাকা ১২ পয়সা, মণিপুরে ৮ টাকা ১৯ পয়সা, মিজোরামে ৯.৮৬ পয়সা, নাগাল্যান্ডে ১০.১৩ ‘পয়সা, মেঘালয় ৭.৬১ পয়সা এবং ত্রিপুরায় প্রতি ইউনিট ৭.৫৬ পয়সা। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৭৯টি বিদ্যুৎ সাবডিভিশন রয়েছে। এরমধ্যে ৬৭টি বিদ্যুৎ সাবডিভিশন পরিচালনা করে বিদ্যুৎ নিগম।বেসরকারী সংস্থা ফিডকো চালায় ১১০টি এবং সাই ইলেকট্রিক চালায় দুইটি।আগে শুধু তেরোটি সাবডিভিশনে সাইট শিফট চালু ছিল।আর্থিক দুরাবস্থার পরেও গত ২৪ জুলাই বাকি ৫৪টি সাব ডিভিশনে নাইট শিফট চালু করা হয়েছে। এর জন্য প্রতি সাবডিভিশনে অতিরিক্ত তিন জন করে লোক এবং একটি করে অতিরিক্ত গাড়ি দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এত কিছুর পরও এবং আপ্রাণ প্রয়াস সত্ত্বেও একাংশ ভোক্তা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও বিল পরিশোধ করছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীদিনে বিদ্যুৎ পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
অন্যদিকে, শনিবার বিদ্যুৎমন্ত্রী শ্রীনাথ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তর, বিদ্যুৎ নিগম এবং ট্রেডার সকল স্তরের কর্মীরা যেভাবে রাত-দিন কাজ করেছেন, তার জন্য বিদ্যুৎমন্ত্রী সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, সকল স্তরের সমস্ত কর্মীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এককালীন আর্থিক পুরস্কার প্রদানের চিন্তা করছে দপ্তর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তপ্ত মণিপুরের অশান্তির আঁচ এবার পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত।মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর এবার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বেআইনিভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি প্রসূনকান্তি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ট্রেন, বিমানের পর এবার দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্করিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াই উড়িয়ে দেওয়ার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। মন্ত্রীর এই সাম্প্রদায়িক উস্কানির দৌলতে, গণ্ডাছড়া,…
আমেরিকায় পালাবদলের পর বিশ্বের অশান্ত এলাকাগুলিতে,যুদ্ধবিধ্বস্ত সকল অঞ্চলে নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু হইয়াছে। বিশেষত দুইটি যুদ্ধ…
অনলাইন প্রতিনিধি :- জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নয়ে নীর, হায়…