দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। বুধবার ফের রাজনৈতিক সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বিশালগড়। কংগ্রেস -বিজেপি দুই দলের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন।বাদ যায়নি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও । দফায় দফায় হামলা, পাল্টা হামলায় রণক্ষেত্রের রুপ নেয় গোটা এলাকা। তিনটি বোমা ছোঁড়া হয়। কংগ্রেসের একটি দলীয় অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠি ও কাঁদানো গ্যাসের সেল ছুঁড়তে হয়েছে কয়েক রাউন্ড। দিনভর চলে হঙ্গামা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। রাতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা তাদের উপর আচমকাই হামলা চালিয়েছে এবং পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়েছে।অপরদিকে বিজেপির বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেবের অভিযোগ, আগামী ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের প্রবাস কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বাইপাস এলাকায় প্রচার সজ্জা লাগানোর কাজে ব্যাস্ত ছিল বিজেপি কর্মীরা।এমন সময়ই কংগ্রেস দলের সমাজদ্রোহীরা তাদের উপর আক্রমণ করে এবং তাদের প্রচারসজ্জা নষ্ট করে দেয়।তাছাড়া পিস্তল দিয়ে গুলি করার বিষয়টিও সপূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব।
এদিকে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোতায়ন করা হয়েছে বিরাট সংখ্যাক পুলিশ,টিএসআর এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের। অভিযোগ, এদিন বিকালে জয়দেব বর্মন উপস্থিত থাকাকালে আচমকাই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা উত্তর রাউৎখলা এলাকায় কংগ্রেসের নবনির্মিত দলীয় কার্যালয়টি আগুনে পুড়িয়ে দেয় পাশাপাশি আরও দুটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।পরবর্তী সময় উক্ত এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসলে দুই দলের মধ্যে একপ্রকার লঙ্কা কান্ড বেঁধে যায়।এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যখন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এগিয়ে যায়, তখন পুলিশের উপর দুই দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশের তরফ থেকে লাঠি চার্জ এবং কাদানে গ্যাসের ৬-৭টি শেলও ফাটানো হয়েছে।ফলে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।বুধবার বিশালগড়ে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানাতে গিয়ে সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি জানান বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের পেছনে যারা যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে। আর বোমা ফাটানোর ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পৌঁছে সন্ধ্যা নাগাদ। ফলে সব কয়টি বিষয়েই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ বিজেপি সভাপতি,প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি সহ সিপাহীজলা জেলা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক চলছে। গোটা মহকুমার পরিস্থিতি থমথমে।
গত জুলাইয়ে,তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম তথা সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে, লোকসভায় এক প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গুলিবিদ্ধ অভিনেতা তথা শিবসেনা নেতা গোবিন্দা। জানা গিয়েছে ভুলবশতই তাঁর নিজের বন্দুক থেকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম ও দপ্তরের পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে।এই কারণে,রাজ্যে ৪০ শতাংশ গ্রাহকের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিনামূল্যে চিনি, সুজি,ময়দা দেওয়ার নামে সস্তা রাজনীতি করতে গিয়ে লেজেগোবরে হয়েছে বিজেপি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডায়াবেটিসের রোগী এখন প্রায় ঘরে ঘরেই। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…