রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই মহিলা সংরক্ষণ বিল : কংগ্রেস।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করিয়েও কেন কার্যকর করা হবে না এখন? শুক্রবার দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যদিও এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের নির্দেশমতো শুক্রবার দলের সবকটি প্রদেশ, সিডব্লিউসি মেম্বার এবং সিএলপি নেতৃত্বরা একপ্রকার চাপের মুখে ফেলে দেয় শাসক বিজেপিকে। সংরক্ষণ বিলে সমর্থন জানালেও এককাট্টা মনোভাব পোষণ করে বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সাথে।

প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, আসন্ন লোকসভা কিংবা লোকসভা পরবর্তী বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে যদি তা কার্যকর করা না-ই যায়, তবে তড়িঘড়ি এই বিল পাসের মানেটাইবা কী? ইণ্ডিয়া জোটের সাথে একমত কংগ্রেস মনে করছে, রাজনৈতিক লাভালাভ আর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘুরিয়ে দিতেই মোদি সরকারের এই কৌশল। বিশেষ করে মহিলাদের দৃষ্টিকে মোদি সরকারের ব্যর্থতার দিক থেকে আড়াল করতেই এ ধরনের চমকদারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বললেন কংগ্রেস – ওয়ার্কিং কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য সুদীপ রায় বর্মণ। শুধু তাই নয়, তিনি
বললেন, ডিলিমিটেশন নিয়েই যতো সব সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর তা করতে গেলে ২০১১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ীই তা করা যেত। এদিকে, শ্রীবর্মণ এদিন সংরক্ষণ আইনে ওবিসিদের অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টি নিয়েও জোরালো দাবি জানান। তিনি বলেন, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে সেন্সাসের কথা অনেক আগে থেকেই জানিয়ে আসছে কংগ্রেস। কিন্তু শাসক বিজেপি কোনও অবস্থাতেই তাতে কর্ণপাত করছে না। তার কথা অনুযায়ী ১৯৩১ সালের সেন্সাস অনুযায়ীই ৪৫ শতাংশ ওবিসি রয়েছে এই দেশে। অথচ বাজেটের মাত্র পাঁচ শতাংশ টাকাই খরচ করা হচ্ছে তাদের জন্য। এ থেকেই স্পষ্ট হয় তাদের বঞ্চনার ছবি। রাজ্যের ক্ষেত্রেও যে ২৭ শতাংশ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত জনগণ রয়েছেন তারাও নানাভাবে নানা দিক থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। কেন্দ্র, এমনকী রাজ্যের নানা প্রকল্পগুলির সুবিধা গ্রহণেও বঞ্চিত হয়ে আসছেন তারা। সংরক্ষণ বিলে এদিন তিনি এসসি, এসটিদের হয়েও সুর চড়িয়েছেন। ইতিহাস ঘেঁটে শ্রীবর্ষণ বলেন, কংগ্রেস সর্বদাই জনগণের হয়ে কথা বলে এসেছে। ২০১১ সালে তৎকালীন সময়ে ড. মনমোহন সিং সরকার এজন্যই সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে সেন্সাস করে। রাজ্যের ক্ষেত্রে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার হেজামারা ব্লক এলাকার শানখলা গ্রামে এই সেন্সাসটি হয় প্রথমবারের মতো। এরপর ২০১৫ সালে বিজেপিশাসিত সরকারের অর্থমন্ত্রী সেসময় তা অনুধাবন করেন।একই সাথে উঠে আসে নানা ত্রুটি বিচ্যুতির বিষয়। ২০১৬ সালের ৩১ আগষ্টই তাতে সংশোধন এনে জমা করা হয় সংসদে। শ্রীবর্মণের কথায়, মোদি সরকার সেসব প্রসঙ্গ এখন জনসমক্ষে আনতে চাইছে না। সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন পিসিসি সভাপতি আশিস কুমার সাহাও উপস্থিত ছিলেন।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্রমোদীর অফিসে রাহুল গান্ধি, সঙ্গে মজুত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতিও!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-নতুন সিবিআই কর্তা নিয়োগ করতে হবে আর সেই উদ্দ্যেশ্যেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল…

2 hours ago

ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী পবনদীপ,অবস্থা আশঙ্কাজনক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী সিজন ১২ এর পবনদীপ রাজন ৷ উত্তর…

8 hours ago

শবরীমালা মন্দির পরিদর্শনে দ্রৌপদী মুর্মু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী ১৮ মে দু'দিনের জন্য কেরল সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সেই…

10 hours ago

মহাকালেশ্বর মন্দিরে বীভৎস আগুন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-উজ্জ্বয়ন মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিভীষিকাময় আগুন। মন্দিরের উপর থেকে গলগল করে নির্গত হচ্ছে কালো…

10 hours ago

হত্যা মামলায় ‘গ্রেপ্তার’ বাংলাদেশে জেলবন্দি চিন্ময় প্রভু!

অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুকে নতুন করে আবার হত্যা…

11 hours ago

নিখোঁজ হয়ে ছিলেন কুড়ি বছরে বাড়ি ফিরে এলেন ৬৩ বছর পর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৬৩ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন অড্রে ব্যাকেবার্গ নামে…

11 hours ago