অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হওয়া আরও তিনজনের পরিবারে একজনকে সরকারী চাকরি প্রদানের অনুমোদন দিল বিশেষ কমিটি। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সেই বৈঠকে পর্যালোচনা শেষে তিনজনকে চাকরি দেওয়ার জন্য স্ক্রুটিনি কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে।এই তিনজন হলেন গৌতম দেবনাথ, পলাশ দেবনাথ এবং শুভ্রা মজুমদার।তিনজনই দক্ষিণ জেলার মনু বাজার এলাকার।বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জনানা স্ক্রুটিনি কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই তিনজনের হাতে চাকরির অফার তুলে দেওয়া হবে।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে পাঁচটি আবেদন স্ক্রুটিনি কমিটি পর্যালোচনা করে।এর মধ্যে তিনজনের রিপোর্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় তাদের চাকরি প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।একটি আবেদন পুনরায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।বাকি দুইটি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।কেন না ওই দুইটি আবেদন সেই অর্থে রাজনৈতিক হত্যা নয়।এদিন যে তিনজনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে,তাদের মধ্যে গৌতম দেবনাথের পিতা হারাধন দেবনাথকে গত ১৬ মে ১৯৮৩ সালে খুন করা হয়েছিল।পলাশ দেবনাথের পিতা জহর লাল দেবনাথকে খুন করা হয়েছিল গত ২৮ জানুয়ারী ১৯৯৪ সালে।শুভ্রা মজুমদারের কাকাকে খুন করা হয়েছিল গত ২৫ অক্টোবর ১৯৮৭ সালে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ২০২০ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ৯ মার্চ ২০১৮ সালের আগে এই রাজ্যে যারা রাজনৈতিক খুন হয়েছে,যে কোনও দলেরই হোক, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন সদস্য যাতে সরকারী চাকরি পেতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই লক্ষ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ সালে মন্ত্রী রতনলাল নাথকে চেয়ারম্যান করে একটি স্ক্রুটিটি কমিটি গঠন করা হয়।পরবর্তীকালে গত ১৪ জুন ২০২৩ নতুন করে আবার কমিটি গঠন করা হয়।
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাও এই ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীনাথ। রাজ্য সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৬টি আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে কমিটি যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে ১৫টি আবেদন মঞ্জুর করেছে।এই ১৫ জন ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি করছে।এদের মধ্যে সাত জন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে, একজন সেকেণ্ডারি এডুকেশনে,দুই জন প্রাথমিক শিক্ষা এবং পাঁচজন রাজস্ব দপ্তরে চাকরি করছে।বৃহস্পতিবার আর পাঁচটি আবেদন নিয়ে স্ক্রুটিনি কমিটি পর্যালোচনা করে। এরমধ্যে তিনটি আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।দুইটি আবেদন বাতিল করা হয়েছে এবং একটি আবেদন পুন:তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রতনলাল নাথ ফের একবার রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,২০১৮ সালের আগে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে এমন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থাকলে, তারা যেন সংশ্লিষ্ট ফর্মে আবেদন করে। রাজ্যের প্রতিটি মহকুমাশাসকের অফিসে এই ফর্ম পাওয়া যায় বিনামূল্যে। যদি এমন পরিবার থেকে থাকে তাহলে দলমতের উর্ধ্বে
উঠে ববর্তমান সরকার তাদের পাশে থাকবে। তারা যেন অবশ্যই আবেদন করেন।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…