রাজভবন অভিযানে মথার ছাত্র বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড।

 রাজভবন অভিযানে মথার ছাত্র বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)


অনলাইন প্রতিনিধি :-তিপ্রা মথার ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রাজধানীবাসীরা।ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে এদিক-ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। শুধু তাই নয়, স্কুল ফেরত শিশুদের পর্যন্ত অভিভাবকদের সাথে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানে ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হলেন । আজ রাজধানী শহর আগরতলায় তিপ্রা মথার ছাত্র আন্দোলন ২০১৬ সালে রাজধানীতে আইপিএফটির সমর্থকদের উচ্ছৃঙ্খলতার স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপের জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
রোমান হরফে ককবরক ভাষা চালুর দাবিতে আজ রাজভবন অভিযান করেছে তিপ্রা মথার ছাত্র সংগঠন টিআইএসএফ। এ দিন রাজভবন অভিযানের লক্ষ্যে টিআইএসএফের ছাত্রছাত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে জমায়েত হয়। সারা রাজ্য থেকেই ছাত্রছাত্রীরা আস্তাবল মাঠে জড়ো হয় ৷ এরপর এই স্থান থেকে দুপুর আনুমানিক বারোটা নাগাদ রাজভবনের উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। তবে বিক্ষোভ মিছিলটি আগরতলার সার্কেট হাউস এলাকায় গেলে তাদের পথ আটকে দেন পুলিশ। কিন্তু মথার ছাত্রছাত্রীরা রাজভবন অভিযানের দাবিতে রাজপথ অবরোধ শুরু করে দেয়। পুলিশ প্রশাসনের কোনও অনুরোধ শুনতে নারাজ ছিলো ছাত্রছাত্রীরা। উল্টো পুলিশের ব্যারিকেড গুঁড়িয়ে দেয় ছাত্রছাত্রীরা।ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রণক্ষেত্রের রূপ নেয় ভিআইপি সড়ক। ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনকে লাঠি চার্জ করতে হয়েছে। প্রয়োগ করা হয় জল কামান। ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের সেল। যদিও এ দিন তিপ্রা মাথার ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, রাজ্যে বিজেপির অপশাসনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাবি জানানোর সুযোগ নেই। উল্টো শিক্ষা, কাজ, খাদ্যের দাবিতে পথে নামলেই পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও রোমান হরফে ককবরক ভাষা চালুর দাবি হলো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, দেশ ও রাজ্যে আজ গণতন্ত্র ওসংবিধান আক্রান্ত। ফলে পুলিশের হামলায় অনেক নিরীহ ছাত্রছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এ ধরনের বল প্রয়োগ করে রোমান হরফে ককবরক ভাষা চালুর দাবি আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আবারও এ ধরনের বিক্ষোভ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় টিআইএসএফ। তবে এ দিন এই অতর্কিত বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রভাব রাধানগর, বুদ্ধমন্দির, অভয়নগর, লেক চৌমুহনী বাজার, উত্তর গেট, সার্কেট হাউস এলাকায় বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। আতঙ্কিত শহরবাসী নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এমনকী এক সময় লেক চৌমুহনী বাজার পর্যন্ত জনমানবশূন্য হয়ে যায়।
এদিকে, ছাত্রছাত্রীদের সাথে অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.