অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরায় মেডিকেল হাব এবং এডুকেশন হাব-এর স্বপ্ন দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।কৈলাসহরে ঐতিহ্যপূর্ণ রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক তথা প্রধান অতিথির ভাষণে শনিবার বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমরা কোনও ধরনের কম্প্রোমাইজ করব না। আমরা কাজে বিশ্বাস করি, কথায় নয়।ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যাতে ইউপিএসসির পরীক্ষায় বসতে পারে সেজন্য প্রকল্প চালু করেছি।এখন পর্যন্ত নয় জনকে পাঁচ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।টিআইটিতে ড্রোন সেন্টার উদ্বোধন, জিরানীয়ায় আইন কলেজ, রাজ্যে ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির, সাক্রমে একটি কলেজ চালুর প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে আমরা চাই এই স রাজ্য এডুকেশন ও মেডিকেল হাব
হোক।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকালের ডেমো ট্রেনে আগরতলা থেকে কুমারঘাট হয়ে কৈলাসহর আসেন।তার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য টিন্ধু রায়।কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শন শেষে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে যান। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নির্মিত ফটো গ্যালারি এবং মেগা রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন।উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন কৈলাসহরের বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ গিরিজানন্দ মহারাজ, উচ্চশিক্ষা সচিব রাভেল কুমার, অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলি, উনকোটি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ।স্বাগত ভাষণে কলেজের অধ্যক্ষ ড. পিনাকী পাল প্ল্যাটিনাম জুবিলি বর্ষে একটি মুক্তমঞ্চ এবং নতুন ভবন তৈরির দাবি জানান তার বক্তব্যে।
এই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রয়াত ডা: সচ্চিদানন্দ ধরকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।এছাড়া আরও তিন প্রাক্তন অধ্যক্ষের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে বীরজিৎ সিন্হা ১৯৫০ সালে তাপস চৈতন্যের উদ্যোগে বেসরকারীভাবে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় গড়ে উঠার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং কৈলাসহরে একটি মেডিকেল কলেজ দাবি করেন।এই কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করারও দাবি জানান।মন্ত্রী টিঙ্কু রায় তার বক্তব্যে কৈলাসহরে একটি অডিটোরিয়াম, একটি মহিলা কলেজ ও একটি মিউজিক কলেজের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আশা ব্যক্ত করেন, মুখ্যমন্ত্রী এইগুলি কৈলাসহরকে উপহার দেবেন।প্রসঙ্গত, ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে এইদিনের আয়োজিত রক্তদান শিবিরে ২০২ জন রক্তদান করেন। এই সংখ্যাটি রাজ্যের কোনও রক্তদান শিবিরে সর্বোচ্চ। মুখ্যমন্ত্রী কৈলাসহর ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপম পাল এবং সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরীকে মঞ্চে এনে সম্মাননা তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সম্প্রতি বন্যায় মৃত্যুর ঘটনায় দুটি পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন মঞ্চে কলেজের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করা হয়।মুখ্যমন্ত্রী বিকালের ট্রেনে আগরতলায় ফিরে যান।এর আগে পানিচৌকি বাজারে মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ত্রাণ তহবিলে দান করা হয়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তপ্ত মণিপুরের অশান্তির আঁচ এবার পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত।মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর এবার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বেআইনিভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি প্রসূনকান্তি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ট্রেন, বিমানের পর এবার দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্করিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াই উড়িয়ে দেওয়ার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। মন্ত্রীর এই সাম্প্রদায়িক উস্কানির দৌলতে, গণ্ডাছড়া,…
আমেরিকায় পালাবদলের পর বিশ্বের অশান্ত এলাকাগুলিতে,যুদ্ধবিধ্বস্ত সকল অঞ্চলে নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু হইয়াছে। বিশেষত দুইটি যুদ্ধ…
অনলাইন প্রতিনিধি :- জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নয়ে নীর, হায়…