অনলাইন প্রতিনিধি :-খুব বেশিদিন হয়নি,রাজ্যে নয়া রাজ্যপাল হিসেবে বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের অন্যতম ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু নিযুক্ত হয়েছেন।
শ্রী নীল্লু ত্রিপুরার ২০তম রাজ্যপাল হিসেবে গতমাসের শেষদিকে শপথ নিয়েছেন। সেই অর্থে এখনও তার নিযুক্তির একমাসও সম্পন্ন হয়নি।পূর্বতন অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বর্তমান তেলেঙ্গানা রাজ্যে দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধি থেকে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘসময় বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।স্বাভাবিকভাবেই তার রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে।এ বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।এই পর্যন্ত সবই ঠিক আছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অন্য জায়গায়।নয়া রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু-কে একটু ব্যতিক্রমী বলে মনে হচ্ছে।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন, হঠাৎ এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?কারণ অবশ্যই আছে।এর আগে ত্রিপুরায় যতজন রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন,তাদের মধ্যে দুই-একজনকে বাদ দিলে প্রায় সকলেই রাজ্য সরকারের সাথে সখ্যতা রেখে, রাজ্য সরকারের দেখানো পথে চলেছেন।রাজ্য সরকারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে মোটামুটি রাজভবনেই নিজেদের মেয়াদ কাটিয়ে গেছেন।রাজ্য সরকারের সাথে তেমন কোনও মনোমালিন্য বা সংঘাতে যেতে দেখা যায়নি কাউকে।অথবা রাজ্যপালকে নিয়ে রাজ্যের বিগত সরকারগুলির মুখেও তেমন কোনও বিরোধের সুর শোনা যায়নি।বিগত রাজ্যপালদের মধ্যে এমন কাউকে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারের কোনও সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করতে,প্রশাসনিক কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে,এমনকী রাজ্য সরকারকে কোনও বিষয়ে নির্দেশ দিতে।কিন্তু নবনিযুক্ত রাজ্যপাল শ্রী নাল্লু,পূর্বসূরিদের পথে হাঁটছেন না।শপথগ্রহণের পর গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যপালের যে তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে,তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে
জানা নেই।তবে কিছু যে একটা আছে তা কিন্তু স্পষ্ট।রাজ্যপালের এই ধরনের তৎপরতা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
কেননা, গত কদিন আগেই তিনি রাজ্যের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র জিবি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। যাবতীয় সবকিছুর খোঁজখবর করেন। খতিয়ে দেখেন সবকিছু।এরপর কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে।খবরে প্রকাশ,গত শনিবার তিনি বৈঠক করেছেন রাজ্যের পর্যটন ও পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে।দুই দপ্তরের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও কাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর করেন রাজ্যপাল।মুখ্যমন্ত্রী এবং দপ্তরের মন্ত্রী যেমন পর্যালোচনা বৈঠক করে থাকেন, ঠিক তেমনটাই ছিলো রাজ্যপালের বৈঠক।গত সোমবার রাজ্যপাল বৈঠক করেন গ্রামোন্নয়ন এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিবদের সাথে।খবরে প্রকাশ, ওই বৈঠকে রাজ্যপাল দপ্তরের আধিকারিকদের দরিদ্র অংশের মানুষকে চিহ্নিত করে তাদের সার্বিক উন্নয়নে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান সরকার এতদিন যাদের দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা কি প্রকৃত গরিব নন?গত ১৫ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নির্দেশে সারা দেশের সাথে রাজ্যেও ‘বিকশিত ত্রিপুরার’ প্রচার শুরু হয়েছে। একই সাথে শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে সুশাসন পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় তৎপরতা।এর মধ্যেই রাজ্যপাল যেভাবে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব এবং আধিকারিকদের ডেকে বিভিন্ন দপ্তরের যাবতীয় বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেছেন তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ।এখন প্রশ্ন হচ্ছে,নয়া রাজ্যপালের এমন তৎপরতা কেন?তবে কি বর্তমান সরকারের উপর দিল্লীর সরকার আস্থা হারিয়েছে?
মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার উপর কি দিল্লীর আস্থা নেই ? আর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস থেকে থাকে তাহলে রাজ্যপাল এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন কেন? ‘এসব ব্যাপারে রাজ্যপালের সাথে রাজ্য সরকারের সংঘাত কি আসন্ন?এসব প্রশ্ন নিয়ে কিন্তু রাজ্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…