নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
রাজ্যভিত্তিক ক্রিকেটের ফাইনালে সদরের মুখোমুখি মোহনপুর
দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ টিসিএর সিনিয়র ক্রিকেটে রাজ্যসেরা হওয়ার জন্য সোমবার খেতাবি যুদ্ধে নামবে দুই প্রতিবেশী মহকুমা দল । একদিকে তারকাখচিত সদর , তো অন্যদিকে লড়াকু দল মোহনপুর । সদরের মতো মোহনপুরেও রাজ্যদলের হয়ে খেলা তারকা ক্রিকেটার রয়েছে ।
তবে সোমবার এমবিবি স্টেডিয়ামে সদর কিন্তু ফেভারিট হিসাবে মাঠে নামছে । তবে ভুললে চলবে না খেলাটার নাম ক্রিকেট । যেখানে বাইশ গজের জমিতে ব্যাট বলের যুদ্ধের অনেক হিসাবনিকাশ পাল্টে যেতে পারে । ফাইনালে ওঠার পথে সদর বা মোহনপুর কোনও দলই কিন্তু পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলার মতো ম্যাচ পায়নি । মোহনপুর সেমিফাইনালে বারো ওভার ম্যাচ খেলে জয় পায় ।
অন্যদিকে , সদর দশ ওভার ম্যাচ খেলে জয় পায় । তাই ফাইনালে খেলার আগে দু’দলই নিজেদের ঠিকমতো মেলে ধরতে অঙ্ক কষে খেলার সুযোগ পায়নি । সদর উদয়পুরের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দশ ওভারে ৬৪ রান তুলেছিল । জবাবে উদয়পুর ৫১ রানই তুলতে সক্ষম হয়েছিল । অন্যদিকে , মোহনপুর কৈলাসহরের বিরুদ্ধে ১২ ওভারে ১০১/৬ রান তুলে । জবাবে কৈলাসহর ১০ ওভারে ৮২/৬ রানই তুলতে পারে । সোমবারের ফাইনালে ব্যাট বলের শক্তির লড়াইয়ে তাই কোনও দলকে খুব এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
তবে যেহেতু সদর দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বেশি তাই কাগজেকলমে তো তারা খানিকটা এগিয়ে থেকেই নামবে । তবে এটাও ঠিক , প্রথমবারের মতো রাজ্য ক্রিকেটের ফাইনালে ওঠায় শ্রীদাম পাল , অজয় সরকারদের লক্ষ্য খেতাব জয়ের দিকেই থাকবে ।
শনিবার কিন্তু কৈলাসহরের বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল শ্রীদাম পাল । তাই তাকে নিয়ে সদরের বাড়তি একটা চিন্তা বা পরিকল্পনা থাকবেই । তেমনভাবে মোহনপুরের তারকা বোলার অজয় সরকারকে নিয়েও সদরের ব্যাটসম্যানদের বাড়তি একটা প্রেশার থাকবে । অজয় কিন্তু সদর দলের জন্য একটা দুশ্চিন্তার কারণ থাকবেই । অন্তত তার মতো অভিজ্ঞ বোলার যেকোনও প্রতিপক্ষ দলকে চিন্তার মধ্যে রাখবে ।
এদিকে , বেশ কয়েক বছর পর রাজ্য সিনিয়র ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে । একটা সময় এই টুর্নামেন্টে সদরের প্রতিপক্ষ হয় উদয়পুর হতো , নয় বিশালগড় । এবার উদয়পুরকে সেমিফাইনালেই ছিটকে দেয় সদর। তবে প্রথমবার প্রতিপক্ষ মোহনপুরকে নিয়ে সদর অবশ্যই ম্যাচ জয়ের ছক বা পরিকল্পনা কষে নেবে ।
তবে ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে দু’দল ব্যাট বলের প্রস্তুতির তেমন সুযোগ পায়নি । এছাড়া , ফাইনাল ম্যাচে একে অন্যকে প্রতিপক্ষ ভাবা ছাড়াও তৃতীয় প্রতিপক্ষও থাকবে । তা হলো বৃষ্টি । কারণ কোয়ার্টার ফাইনালের পরই বৃষ্টির থাবায় দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ তো নামকাওয়াস্তে হয়েছে । ৫০:৫০ ম্যাচ ১০ , ১২ ওভারে হয়েছে । তাই সোমবার ফাইনাল ম্যাচটি বৃষ্টিহীন থাকবে কি না তা কেউ বলতে পারছে না । তেইশ মে বৃষ্টির জন্য খেলা না হলে চব্বিশ মে রিজার্ভ ডে থাকছে ।
তবে রজত দে , সম্রাট সিন্হা, কৌশল আচার্য , নিরুপম সেন চৌধুরী , নিরুপম সেন , বিশাল ঘোষ , পল্লব দাসরা কিন্তু সদরের অন্যতম ব্যাটিং শক্তি । ভরসাও । বোলিংয়েও সদরের গভীরতা রয়েছে । তবে এটাও ঠিক , অনেক সময়ই বড় দলগুলির বিরুদ্ধে ছোট দলগুলি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে । মোহনপুরের ক্ষেত্রেও তা হতে পারে । আশা করা হচ্ছে , ফাইনাল ম্যাচটি বেশ জমজমাটই হবে ।