অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যেও ইন্ডিয়া জোট আহুত প্রতিবাদ দিবস করল সিপিএম। সংসদ থেকে নজিরবিহীনভাবে ১৪৬ জন সাংসদ সাসপেন্ডের প্রতিবাদে ‘ইন্ডিয়া’ জোট সারা দেশব্যাপী যে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছিল। এর অঙ্গ হিসাবে আজ রাজধানীতে মিছিল সভা করেছে সিপিএম। শুক্রবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ইন্ডিয়া জোটের জন্যে বিজেপির রাতের ঘুম নেই। এ দিন কংগ্রেস দলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আসার কথা ছিল। তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যে এই কর্মসূচি বিকেলে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিকেলে সিপিএম রাজ্য কমিটির সভা পূর্ব নির্ধারিত ছিল। তাই এক সাথে রাজ্যে প্রতিবাদ করা গেল না। তিনি জানান, কংগ্রেস বিকেলে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবেন। তবে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে পরবর্তীতে ত্রিপুরাতে ইন্ডিয়া জোট এক সাথেই কর্মসূচি পালন করবে সিপিএম। তিনি এ দিন আবারও আসন্ন লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোট সফল করার লক্ষ্যে এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে রাজ্যে সিপিএম কংগ্রেসের জোটের ও বার্তা দিলেন। জিতেন চৌধুরী জানান দেশে একনায়ক বিজেপি সরকারের বিদায় নিশ্চিত। বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেখে পায়ের নিচের মাটি নেই বিজেপির। বিজেপি সরকার ক্ষতাচ্যুতের ভয়ে সংসদ থেকে নজিরবিহীনভাবে ১৪৬ জন সাংসদ আাসপেন্ড করে দিয়েছে। তবে এসব ভরেও বিজেপি সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। দেশের জন বিরোধী সরকারকে মানুষ ছুড়ে ফেলে দিতে প্রস্তুত। তার দাবি, কয়েকটা জনবিরোধী বিলকে আইনিরূপ দিতে সংসদকে বিরোধী শূন্য করা হয়েছিল। মানুষের কন্ঠরোধ করতে সংসদকে বিরোধীশূন্য করে বিজেপি সরকার তার একনায়ক রূপ আবারও স্পষ্ট করে দিল। তার অভিযোগ, একজন বিজেপি সাংসদের দেওয়া পাস নিয়ে দুজন বহিরাগত সংসদ কক্ষে ঢুকে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙে দিল। তাই বিরোধী দলের সাংসদদের দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিতে হবে। তবে এ পথে গেল না শাসক দল। উল্টো বিরোধী সাংসদদের বহিষ্কার করা হলো। তিনি বলেন, উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে পরে যখন জনবিরোধী বিলকে আইনে পরিণত করল বিরোধীহীন সাংসদে। জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ, বিজেপি সরকার কালো টাকার জোরে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কিছু নির্বাচন জিতেছে। তবে বিজেপি সরকার বুঝেছে তাদের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষের মুখ বন্ধ করতে স্বৈরতন্ত্রের দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেখে বিজেপি সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তার অভিযোগ, বিজেপি সরকার কৃষক, শ্রমিক সহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। বিজেপি বিশ্বাস ঘাতক। জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ, বিজেপি সরকারের দৌলতে রাজ্যে একটি সদ্যজাত শিশুর মূল্য মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা। রাজ্যে উপজাতি জন সমাজের মধ্যে অনাহার চলছে। আমরা বহুবার বলেছি। সরকার শোনেনি, এবারও সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত বিজেপি সরকার। তাই জন বিরোধী সরকারকে চব্বিশের নির্বাচনে হটানোর জন্যে তিনি আহ্বান জানান। রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখল রুখে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট কার্যকর হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত তা মান্যতা দিল সিপিএম। আমাদের লক্ষ্য জনবিরোধী বিজেপি সরকারকে বিদায় করা। রাজ্যের উপজাতি জনসমাজও এখন সব বুঝে গিয়েছেন। রাজ্য ভাগের নাম করে আঠারো সাল থেকে কীভাবে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। তাই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে তা রাজ্যেও কার্যকর করবে সিপিএম। এদিন ওরিয়েন্ট চৌমুহনীর সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সাংসদ নারায়ণ কর প্রমুখ। মেলার মাঠ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। এরপর শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে সভায় মিলিত হয়।
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…