রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
রাজ্যেও হবে হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক কলেজ : মুখ্যমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি:-রাজ্যে হোমিওপ্যাথিকও আয়ুর্বেদিক কলেজ স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারের প্রয়াস জারি রয়েছে।দুটি মেডিকেল কলেজ,ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের পর বাকি দুটি বিষয়ে কলেজ স্থাপনে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।আজ ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপজাতি অধ্যুষিত তৈবান্দাল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করতে এসে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এই মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, কাজ করতে হলে আগে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে,কার কখন কী হয় বলা যায় না।দেশ, রাজ্য, বিধানসভা এলাকা ঠিক রাখতে হলে শরীর ঠিক করতে হবে।সেজন্য রাজ্য সরকার আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।তবে একদিনে সবকিছু হবে না।কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে।এ জন্যই প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু রয়েছে।প্রতি পরিবার চিকিৎসা বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা পাচ্ছে।কিন্তু সবার এই কার্ড নেই।সে জন্য রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা কার্ড দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সেই দিশায় সরকার কাজ করছে।স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে সেজন্য সকলের বিষয়ে চিন্তা করছে।
এটাই সবকা সাথ সবকা বিকাশের একটা অঙ্গ।এই দিশায় কাজ করছে সরকার।মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।এ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে।খুব সহসাই এই যোজনার কার্ড দেবার কাজ শুরু হবে।আগে কথায় কথায়
চিকিৎসার জন্য বাইরে চলে যেতে হতো।তা যে কতো কষ্টকর তা অনুভব করেছেন যারা বাইরে যেতেন তারা।কিছু হলেই বাইরে চলে যেতে হবে এই ভাবনা থেকে রাজ্যবাসী সরে আসতে শুরু করেছেন। কেন না, রাজ্যেই গড়ে উঠেছে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন রয়েছেন তেমনি চিকিৎসকও পড়াশোনা করতে পারছেন।মানুষের চাহিদাও বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়।রাজ্যে এখন আধুনিক স্টুডিও গড়া হয়েছে যেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সকলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব।পর্যালোচনা করা যায়। যার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে সে যেন সামনে দাঁড়িয়ে আছে।অতীতে টেলিফোন,মোবাইল,পরে ছবি দেখে কথা বলা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার দিয়ে কাজ চলতো।এখন সেই যুগেরও অবসান হতে চলছে।ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থায় আরও উন্নত যোগাযোগ পরিষেবা গড়ে উঠেছে।হাই রেজুলেশন ব্যবস্থা।রাজ্য ডেন্টাল কলেজ পরিদর্শনে এসে সর্বভারতীয়
পর্যবেক্ষণ দল সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন যে কলেজ মাত্র দুই বছর পূর্বে যাত্রা শুরু করেছে সেই কলেজে এতো অল্প সময়ে এতো সুন্দর ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা অবিশ্বাস্য।রাজ্যে মডেল হিসাবে উপস্থাপিত হচ্ছে। কৃষি,শিক্ষা,খেলার ব্যবস্থার উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিরা পরিশ্রম করছে।আর অভিভাবক হিসাবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী বিকাশ যাত্রার ষোলটি গাড়ি পাঠিয়েছেন প্রত্যেক মানুষ, সাধারণ মানুষ যারা এখনও বিভিন্ন পরিষেবার কাগজপত্র পাননি তারা পাবেন।এই ব্যবস্থায়ই শেষ নয়,রাজ্যবাসীর কল্যাণে জনধন যোজনা,গরিব কল্যাণ যোজনা, জীবনজ্যোতি বিমা যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, কৃষক সম্মান নিধি, মেয়েদের স্বশক্তিকরণ বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।কর্মসংস্থানে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।তারপরও স্বনির্ভর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শন স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাজ করছে।এর অঙ্গ হিসাবে টয়লেট প্রচুর পরিমাণে তৈরি হচ্ছে।মুদ্রা যোজনা,গর্ভবতী মায়েদের রেশন দেবার ব্যবস্থা, জলজীবন মিশনে বাহাত্তর শতাংশ পরিবারে জল সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।বিভিন্ন পরিষেবা পেয়ে মানুষ বলুক এই সরকার আমার সরকার।বিভিন্ন আধিকারিকরা কাজ করছেন,রাস্তা,জল, নিরাপত্তার জন্য সবাইকে দেখে রাখছেন।দুর্নীতিমুক্ত সরকার উপহার দিয়েছি বলে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন।এ জন্যই রাজ্যে দ্বিতীবারের মতো বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে।এই সরকার কাজের বিনিময়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্যকে এই সরকার সম্মান প্রদর্শন করেছে জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা,আগরতলা বিমানবন্দর উনার নামে করা হয়েছে।উপজাতিদের গড়িয়া পুজোর ছুটি দুদিন করা হয়েছে।তাদের জন্য প্রি-মেট্রিক স্কলারশিপ চালু করেছে।একলব্য স্কুল একুশটি স্থাপন হবে।মোদি মানেই উন্নয়নের সরকার।তৈবান্দাল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নতুন দালান ভবনের প্রসঙ্গে বলেন হাসপাতাল বা ভবন নির্মাণ করলেই হবে না,তা দেখে রাখা,রক্ষা করা বা সুন্দর রাখার দায়িত্ব স্থানীয় মানুষকেই নিতে হবে।স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থেই মানুষকে এই কর্তব্য পালন করতে হবে।স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে হামলা হুজ্জতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,এ ধরনের প্রবণতা থাকা ঠিক নয়।চিকিৎসকদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। হাসপাতাল থেকে অনেক সময় রোগী রেফার করে দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়।রেফার মানেই উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।তৈবান্দাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ধনপুরের বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ,সিপাহিজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত প্রমুখ।এছাড়া এই অনুষ্ঠানে শ্রম দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকার রবিকন্যা নোয়াতিয়ার মেয়ের বিবাহের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের অর্থ তার হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং
টিআরএলএমের মাধ্যমে বুক্ৰাই মহিলা স্বসহায়কা দলের হাতে তিন লক্ষ টাকা, লাইফ লাইন স্বসহায়ক দলের হাতে দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।