রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হল মহারানীর মর্মর মূর্তি!!

 রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হল মহারানীর মর্মর মূর্তি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বনেদি স্কুল, মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের অ্যালামনি’র উদ্যোগে এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হলো মহারানী তুলসীবতী’র মর্মর মূর্তি। এদিনের অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা মুখ্যমন্ত্রী জায়া স্বপ্না সাহা, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, অ্যালামনির সভাপতি পূর্ণিমা রায়, অ্যালামনি সচিব চন্দ্রা রায় ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নন্দন সরকার।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা সহ অন্যান্যরা। এরপর পুষ্প স্তবক দিয়ে ও রাজ্যের পারম্পরিক রিসা পরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ মঞ্চে উপস্থিত সকলকে বরণ করে নেয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। পাশাপাশি এদিন বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন ‘অন্বেষা’ ২০২৩-এর ফলক উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্বতন সরকারের আমলে মহারাজাদের কোণঠাসা করে রাখা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহারাজাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।

একপ্রকার নাস্তিক বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, এই সরকার আসার পর থেকে চেষ্টা করছে আস্তিক বাতাবরণ সৃষ্টির। বিদ্যালয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়েই এগিয়ে রয়েছে মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়। পড়াশোনা, খেলাধুলা থেকে শুরু করে এনসিসি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নাম রয়েছে এই বিদ্যালয়ের। এছাড়াও তিনি মহিলা সশক্তিকরণের বিষয়টিও তুলে ধরেন নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আগে খুন-ধর্ষণ থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর যে পরিমাণ অত্যাচার হতো তা এখন অনেকটাই কমে গেছে। মহিলাদের যেকোনো ধরনের সমস্যায় এই সরকার পাশে থাকবে বলেই নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়াও এদিন হলে উপস্থিত ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার কথা বলেন। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের বিভিন্ন দিকও তুলে ধরেন তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি এদিন মহারানীর মূর্তি স্থাপনের এই মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিদ্যালয়ের অ্যালামনির সদস্যদেরও প্রশংসা করেন।
এরপর মূল অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে আবরণ উন্মোচন হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত মহারানী তুলসীবতী’র অবয়ব মর্মর মূর্তি।

মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত প্রত্যেকেই মহারানীর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে প্রাক্তনীদের প্রত্যেকের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.