রাজ্যে আসা পর্যটকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠল!!

 রাজ্যে আসা পর্যটকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠল!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যের পর্যটন শিল্পের মাথায় হাত পড়ার উপক্রম হয়েছে বহি:রাজ্যের পর্যটকদের হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে বলে খবর। একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী আবাসের আবাসিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনা ঘটে চলছে। হেনস্তা ও দুর্ব্যবহারের শিকার পর্যটক, আবাসিকদের মধ্যে বহি:রাজ্যের পদস্থ আধিকারিক রয়েছেন বলে জানা যায়। ফলে ত্রিপুরার প্রতি অনাগ্রহ বাড়ছে বহি:রাজ্যের মানুষের কাছে। প্রাপ্ত খবর অনুসারে এই ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি করে ঘটছে খোদ রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলায়। আগরতলায় এই ধরনের ঘটনা প্রায় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন তখন বহি:রাজ্যের পর্যটকদের ঘটছে জুলুমের ঘটনা। এই অভিযোগ উঠেছে আগরতলার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী আবাস অথবা হোটেলে নির্দিষ্ট কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকা পর্যটকদের তরফে। বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বলে খবর। তবে তারপরও অদৃশ্য কারণে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেই বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের প্রতি বাড়ছে অনীহা। সৃষ্টি হয়ে চলছে রাজ্যের বদনাম। প্রাপ্ত খবর অনুসারে রাত দশটা, সাড়ে দশটা পর্যন্ত আবাসিকদেন কক্ষে ঢুকে তাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। তাদের কাছে করা হয় নান ধরনের অন্যায় আবদার। এ তো গেলো একটি দিক। অন্যদিকে পর্যটন আবাস এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে বেশি রাতের দিকে কক্ষ ব্যবহার করতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এইসব দাবি, আবদার সামাল দিতে নাজেহাল হতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। দ্রুত এই সমস্যার নিরসন না হলে রাজ্যের পর্যটন শিল্প মাঠে মারা যেতে পারে। বিপদে পড়বে রাজ্যের হোটেল ব্যবসা।। ইতিমধ্যে পোলো টাওয়ার, জিঞ্জার, সোনারতরীর মতো রাজ্যের প্রথম শ্রেণীর হোটেলগুলির উপর নানা উপায়ে কার্যত অত্যাচার চলছে। একই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে চলছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব অতিথি আবাস সোনারতরি এবং পর্যটন আবাস গীতাঞ্জলির কর্তৃপক্ষ সহ কর্মীদের। বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও ভেতরে ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে চলছে। একই কারণে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এসে ঠেকেছে প্রশ্নের মুখে। কেননা পর্যটন মানে সামগ্রিকভাবে একটি ধারাবাহিকভাবে পর্যটকদের ভিত্তি করের ধারাবাহিক ভাবে রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি রাজ্যের প্রাকৃতিক অথবা অন্য পর্যটন ক্ষেত্রকে ব্যবহার করে। এই ক্ষেত্রে বনভোজন অথবা পিকনিকের নামে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে হুল্লোড় বাজিকে বেশি গুরুত্ব দিলে চলবে না। কারণ এইসবের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের যোগই থাকে বেশি। পর্যটন শিল্পে তাদের ভূমিকা থাকলেও আসল কথা বহি:রাজ্য ও বহিঃবিশ্বের মানুষের বেশি করে আগমন। তাতেই পর্যটনকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থে কোনও অঞ্চলের অগ্রগতি ঘটতে পারে। এমনই মনে করেন পর্যটন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল। মহলটির বক্তব্য ত্রিপুরায় প্রশাসনিক সদিচ্ছার অভাব সহ রাজ্যবাসীর একাংশের পর্যটন বিরোধী মানসিকতা ও কাজকর্মের ফলে বাড়ছে বিপদ। এ নিয়ে এখনই প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মহলটির বক্তব্য।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.