রাজ্যে স্বশাসিত ক্রীড়াসংস্থাগুলির সরকারী বরাদ্দ যখন প্রায় শূন্য, তখন হঠাৎই যেন ঘুম ভাঙলো সুজিত রায়দের ত্রিপুরা অলিম্পিকের। রাজ্যের খেলাধুলার উন্নয়ন ও খেলোয়াড়দের স্বার্থে ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবার রাজ্য সরকার এবং ইণ্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ)-এর শরণাপন্ন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ত্রিপুরা স্টে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানানো হবে আইওএর কাছে। রবিবার ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনাক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আজ ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সাথে বৈঠকে বসে। বৈঠকে ৩৪টি বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার ৯৬ জন সদস্য যোগ দেন বলে দাবি। খেলাধুলার আয়োজন এবং কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর বর্তমানে কী সব সমস্যা রয়েছে তা এদিনের বৈঠকে আলোচনার ওঠে আসে। পাশাপাশি ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকাণ্ড গুলোর উঠে আসে অ্যাসোসিয়েশন গুলোর আলোচনায়। রাজ্যে খেলাধুলা আয়োজন থেকে শুরু করে বহিঃরাজ্যে টিম পাঠানোর ক্ষেত্রে ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন যা যা করে আসছে সেই বিষয়গুলো ওঠে আসে আলোচনা।অ্যাসোসিয়েশনগুলো ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাজকর্মের বিরুদ্ধে সরব হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি রাখে। ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে। এদিন দুপুরে বৈঠকের পর বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তাদের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে। ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুজিত রায় জানান,রাজ্যের খেলাধুলার উন্নয়নের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। বেনামি কিছু ক্রীড়া সংস্থাকে নিয়ে ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এমন কিছু ইভেন্ট যার এই রাজ্যে কোন অস্তিত্ব নেই বা খেলাধুলা হয় না-এই সমস্ত অ্যাসোসিয়েশন বানিয়ে বহিঃরাজ্যের খেলোয়াড়দের নিয়ে জাতীয় আসরে টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। হকি, অ্যাথলেটিক্স, টেবিল টেনিস সহ এমন বহু ইভেন্ট রয়েছে যেখানে ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তাদের ব্যানারে বহিঃরাজ্যের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করে জাতীয় আসরে বিভিন্ন সময় পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেখানে এত বাজে ফলাফল হচ্ছে যে ত্রিপুরার নাম বদনাম হচ্ছে। ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের এই অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবার পথে নামছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা ও ক্রীড়া সংগঠকদের গণহারে স্বাক্ষর নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইণ্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে দাবি জানানো হবে। এদিকে গত ৫ বছরের রাজ্যের স্বশাসিত ক্রীড়া সংস্থাগুলি তখন সরকারী অনুষ্ঠান ও সরকারী সাহায্য থেকে দারুণভাবে বঞ্চিত তখন কিন্তু এ নিয়ে ত্রিপুরা অলিম্পিকের কোন বক্তব্য কোন প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যভিত্তিক আসর হয় না, জাতীয় আসরে দল যায় না এ নিয়ে চুপ ত্রিপুরা অলিম্পিক। প্রশ্ন উঠছে। ত্রিপুরা অলিম্পিক আসলে কেন এবং কীসের জন্য এবং কাদের জন্য ?
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…