রাজ্যে চলছে সবুজ বিপ্লব দাবি করলেন কৃষিমন্ত্রী!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষক কল্যাণে নিয়ে এসেছেন এক বিস্ময় ভরা পদক্ষেপ।প্রধানমন্ত্রী কিষান উরযা সুরক্ষা এবং উত্থান মহা অভিযান সংক্ষেপে পি এম কুসুম প্রকল্প।যার মূল লক্ষ্যই হলো সেচের অভাবে রুক্ষ হয়ে ওঠা অনাবাদি জমিকে বহু ফসলি আবাদি জমিতে পরিণত করা।আর এ কাজে যার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেল সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নতুন সবুজ বিপ্লবের জনক বলে অভিহিত করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তার মতে,এক সময় কৃষকরা সেচের অভাবে চাষ করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়তেন। তাদের চাষাবাদের জন্য নির্ভর করতে হতো প্রকৃতির উপর। অর্থাৎ বৃষ্টির উপর। বৃষ্টির জলই ছিল তাদের ফসল ফলানোের ভরসা। আর যাদের একটু টাকা পয়সা আছে কিংবা মহাজনি ঋণ নিয়ে বৈদ্যুতিক পাম্প কিংবা ডিজেল পাম্প বসিয়েছেন,এর জন্য প্রতিমাসে খরচ মেটাতেই গিয়েই তাদের ফের মহাজনি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে হতো।এখানেই কৃষকদের কাছে মুক্তির দূত হিসেবে হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালে তিনি শুরু করেন পিএম কুসুম প্রকল্প। অর্থাৎ কৃষকদের বিদ্যুৎ সুরক্ষা এবং তাদের নয়া উত্থানের মহা অভিযান। বিদ্যুৎ এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ এদিন জানান, এখন পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৭২০০ একর জমিতে অর্থাৎ প্রায় ১৮ হাজার কানি জমিকে বহু ফসলী জমিতে পরিণত করেছে এই পি এম কুসুম প্রকল্প।উপকৃত হয়েছেন ৩৫৫১ টি কৃষক পরিবার।মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ত্রিপুরা পুনঃনবীকরণ শক্তি উন্নয়ন সংস্থা অর্থাৎ ট্রেডা ইতিমধ্যেই আরও পাঁচ হাজার পরিবারকে এই সুবিধা দিতে সমস্ত প্রক্রিয়া প্রায় গুটিয়ে শুড়ার কানি
এনেছে।আর প্রায় ২০ হাজার কানি জমি এর আওতায় চলে আসবে।শ্রীনাথ আরও জানিয়েছেন,কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুযায়ী এই প্রকল্পের ৫০ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।৩০% অর্থ দেয় রাজ্য সরকার এবং ২০ শতাংশ অর্থ বেনিফিসিয়ারি অর্থাৎ কৃষককে নিজের দিতে হয়। কিন্তু এ রাজ্যের কৃষকদের উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মোট ৪০ শতাংশ অর্থ বহন করছে। ফলে কৃষক দিতে হয় মাত্র ১০% টাকা। অর্থাৎ ২ ঘোড়া ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জল উত্তোলক পাম্প বসাতে যদি খরচ হয় দেড় লক্ষ টাকা এতে কৃষককে দিতে হবে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতি মাসে আর কোন বিল আসবে না। একবার এই প্রকল্পের আওতায় চলে আসার পর সোলারের সাহায্যে পাম্প কাজ করতে শুরু করবে। ফলে জমিতে জলের আর কোন অভাব হবে না। এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজার কৃষক পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে বলেও জানিয়েছেন রতনবাবু।তিনি বলেন, যে পরিবার আগে বছরে একটি ফসল করার জন্য বৃষ্টির দিকে মুখিয়ে থাকতো, এখন সে পরিবার ৩ ফসল করছে একই জমিতে। আয় হয়ে গিয়েছে তিন গুণ। তারা অন্যদেরকেও জল দিয়ে সাহায্য করতে পারছে। আরও প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় চলে আসছে শীঘ্রই। পিএম কুসুম প্রকল্প নিশ্চিতভাবেই কৃষকদের কাছে এক প্রাকৃতিক আশীর্বাদ হয়ে ফিরে এসেছে। যে প্রকৃতির উপর ভর করে বৃষ্টির জন্য তাকিয়ে থাকতেন তারা, সেই প্রকৃতি তাদের সৌরশক্তি দিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন প্রযুক্তি। সব মিলিয়ে কৃষকরা এখন প্রকৃতি আর প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ দিয়ে তাদের আয় তিনগুণ কিংবা তারও বেশি বাড়িয়ে নিয়ে অগ্রগতির এক নতুন সোপান রচনা করছেন। এমনটাই দাবি করলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী।

Dainik Digital

Recent Posts

এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…

1 hour ago

ফাইফরমাশ খাটছেন টিএসআর জওয়ানরা !!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…

1 hour ago

ইন্ডিগো আরও একটি দিল্লীর বিমান চালু করছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…

1 hour ago

ইন্দ্রপ্রস্থে ভোট!!

দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…

1 hour ago

বহিঃরাজ্যে গেল “ধানি লঙ্কা”ওরফে ধান্না মরিচ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…

22 hours ago

কুম্ভ ইকনমি

২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…

23 hours ago