রাজ্যে দ্বিতীয় বিমানবন্দর হবে কৈলাসহরে পর্যটনমন্ত্রী।

 রাজ্যে দ্বিতীয় বিমানবন্দর হবে কৈলাসহরে পর্যটনমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- আজ দুপুরে কৈলাসহরে আসেন ত্রিপুরা সরকারের পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কৈলাসহরে এসে তিনি প্রথমে সার্কিট হাউসের কনফারেন্স হলে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি চলে যান কৈলাসহর এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করতে। কৈলাসহর এয়ারপোর্ট পরিদর্শনশেষে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আজ দুটো ফেজে পর্যটন ও পরিবহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বিধায়ক বীরজিৎ সিন্হা, প্রাক্তন বিধায়ক, জেলাশাসক, ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি, ডাইরেক্টর এয়ারপোর্ট অথরিটি প্রত্যেকেই আমরা কৈলাসহর এয়ারপোর্টকে পুনরায় চালু করার জন্য আন্তরিকতা প্রকাশ করেছি। বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা ও প্রাক্তন বিধায়ক মবস্বর আলি বিগত দিনে বিধানসভায় এই এয়ারপোর্টকে পুনরায় চালু করার জন্য বিভিন্ন সময় সোচ্চার হয়েছেন।আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এই কৈলাসহর এয়ারপোর্ট চালু ছিল। তারপর কোনও কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা ঊনকোটি ও উত্তর জেলার মানুষকে জানাতে চান যে রাজ্য সরকার থেকে ইতিমধ্যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে ভারত সরকারের সঙ্গে, যাতে কৈলাসহর বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে পারি। এটা বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। একে পুনরায় স্বমহিমায় যাতে চালু করা যায় সেই বিষয়ে ভারত সরকারের উড়ান স্কিমে অ্যালায়েন্স এয়ার ও বিগ চার্টার এই দুটো সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে টেণ্ডারের মাধ্যমে। ছোট বিমান ১৭ সিটার ও ১৯ সিটার খুব শীঘ্রই যদি চালু করা যায় তাহলে এতে এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। পরবর্তী সময় টেণ্ডারের মাধ্যমে এই দুই সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।গত বিধানসভার অধিবেশনে বিধায়ক বীরজিৎ সিন্হা এয়ারপোর্ট চালুর বিষয়ে কথা বলেছিলেন। আমরাও চাই আগরতলার পর বিভিন্ন রাজ্যের মতো আসল এয়ারপোর্টের পর যাতে ছোট খাটো এয়ারপোর্ট থাকে আমাদের রাজ্যেও। আগরতলার পর কৈলাসহরে এয়ারপোর্ট একটা বিস্তৃত জায়গা নিয়ে তৈরি। সেটা যেন দ্বিতীয় এয়ারপোর্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রাজ্য সরকার থেকে ইতিমধ্যে সেখানে আলোচনা করেছি। এখানে ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি রয়েছেন ডাইরেক্টর এয়ারপোর্ট অথরিটি এখানে রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই জানেন অনেকদূর আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ সরেজমিনে ভিজিট করতে এলাম। দেখে গিয়ে আবার আমরা এক্সপার্ট পর্যায়ের বৈঠকে বসবো। ঊনকোটি, সোনামুখী চা বাগান সহ খাওরাবিলের উন্নতির জন্য একশ চল্লিশ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ইতিমধ্যে সোনামুখীর জন্য সত্তর কোটি টাকার টেণ্ডার হয়ে গেছে। এয়ারপোর্ট পরিদর্শনশেষে তিনি চলে যান শৈবতীর্থ ঊনকোটি পরিদর্শন করতে। ঊনকোটিতে গিয়ে দেখেন পর্যটকদের জন্য কোনও শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই।নেই কোনও কাফেটেরিয়া।এসব দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। তিনি বলেন,এই বিষয়টি তার জানা ছিল না।যে শৌচালয়ের ঘর রয়েছে ও কাফেটেরিয়ার ঘরটি রয়েছে তা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়ার কর্মীরা বাধা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন।ঊনকোটিকে নিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়ার কোনও ভূমিকা নেই। ঊনকোটির উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করতে গেলে এরা বাধা সৃষ্টি করছে দীর্ঘদিন ধরে। এসব কথা শোনার পর মন্ত্রী রেগে যান। তিনি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন পনের দিনের মধ্যে এই শৌচালয় ও কাফেটেরিয়াটি চালু করার জন্য।তিনি নিজে এসে কাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করে যাবেন।আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়ার কর্মীরা যদি বাধা দেয় তিনি তখন তার মোকাবিলা করবেন। মন্ত্রীর এই কথা শুনে ঊনকোটিতে আসা পর্যটকরা আনন্দ প্রকাশ করেন। ঊনকোটি পরিদর্শনশেষে মন্ত্রী চলে যান সোনামুখী এলাকায়। সেখানে বৃষ্টি বেশি থাকায় তিনি গাড়ি থেকে নামতে পারেননি। গাড়িতে বসে জায়গাটি পরিদর্শন করে তিনি সার্কিট হাউসে চলে আসেন। সার্কিট হাউসে মধ্যাহ্নভোজন শেষ করার পর কংগ্রেস দলের এক প্রতিনিধি দল জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন পেশ করে। কংগ্রেস দলের ডেপুটেশনের বিষয় ছিল কৈলাসহর এয়ারপোর্ট চালু করা ও জায়গা সম্প্রসারণ করা। সেখান থেকে তিনি কৈলাসহরস্থিত বিজেপি ঊনকোটি জেলা কার্যালয় হয়ে আগরতলার উদ্দেশে রওনা হন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.