রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
রাজ্যে পৌঁছে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকে
অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে মণিপুরে পাঠরত রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদে বিশেষ বিমানে ফিরে এলো। শনিবার মধ্যরাতে (রাত ১টায়) ইণ্ডিগোর বিশেষ বিমানে ইম্ফল থেকে আগরতলায় ফিরে আসেন ১৮২ জন।তাদের স্বাগত জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দেব,রাজ্য বিজেপির দুই নেতৃত্ব অমিত রক্ষিত ও পাপিয়া দত্ত।ছিলেন অভিভাবকরাও।রাতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থেকে ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাববকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার দুপুরেও গুয়াহাটি থেকে আগরতলায় আসে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠরত ৩৭ জন ছাত্রছাত্রী।
এরা শনিবার রাতেই ইম্ফল থেকে অন্য একটি বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছায়। রবিবার গুয়াহাটি থেকে তারা আগরতলায় পৌঁছায়।শুধু তাই নয়, রবিবার ইম্ফল থেকে আরও পঞ্চাশজন ছাত্রছাত্রী আগরতলায় আসে।এদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তিপ্ৰা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। এদের স্বাগত জানাতে তিনি রবিবার দুপুরে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন।ইম্ফল থেকে ১৮২ জনকে নিয়ে ইণ্ডিগোর বিশেষ বিমান রাত ১টায় আগরতলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগে থেকেই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যরা।অভিভাবকরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন।কখন সন্তানদের চোখের সামনে দেখবেন।ছাত্রছাত্রীরা একে একে বেরিয়ে আসতেই সকলের চোখে মুখে খুশির ঝলক ফুটে ওঠে।গত ক’দিন ধরে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, ভয় এবং অনিদ্রায় থেকে ক্লান্ত ছিল সকলেই।কিন্তু বিমান আগরতলা অবতরণ করতেই যেন সব ক্লাস্তি দূর হয়ে যায়।খুশি ছাত্রছাত্রীরা রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদও অভিনন্দন জানিয়েছে।ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও।বিমানবন্দরের বাইরে এসেই ছাত্রছাত্রীরা সাংবাদিকদের জানায়,গত ক’দিন ধরে চরম আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছেন তারা।সন্ধ্যা হলেই আতঙ্ক শুরু হতো। এরপর যত রাত গভীর হতো আতঙ্ক আরও বাড়তো।তাদের আশা,পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।