রাজ্যে বাম -কংগ্রেস জোট খাতা খুলতে পারবেনাঃ সুশান্ত
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। বুধবার উত্তর জেলা সফরে ধর্মনগর আসেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও ক্রীড়া মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন বেলা বারোটা থেকে কদমতলা স্কুল মাঠ পরিদর্শন সহ ৫৪ কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের মন্ডল কার্যালয় উদ্বোধন ও কদমতলা চন্দ্রকলা টাউন হলে একটি সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়াও এদিন এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ, জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস, মন্ডল সভাপতি রাজা ধর প্রমুখ। এদিন কদমতলা মাঠ পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী পাঁচ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন রাজ্যের দক্ষিণ ত্রিপুরা ও উত্তর ত্রিপুরা জেলা থেকে দুটি নির্বাচনী রথযাত্রা বের করা হবে। এই উপলক্ষে কদমতলা কুর্তি বিধানসভার কদমতলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে প্রকাশ্য জনসমাবেশে যোগ দেবেন অমিত শাহ। এরপর কদমতলায় সাংগঠনিক বৈঠক শেষে বেলা আড়াইটায় ধর্মনগর সেন্ট্রাল রোডে নেতাজী মূর্তির পাদদেশে ভারতীয় জনতা ওবিসি মোর্চার জেলা সম্মেলনে যোগ দেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও ক্রীড়া মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এছাড়াও এদিনের এই প্রকাশ্য জেলা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ ওবিসি মোর্চার সভাপতি সমীর রঞ্জন ঘোষ, বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ, উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যোত দে সরকার, ওবিসি মোর্চার উত্তর জেলা সভাপতি প্রদীপ নাথ প্রমুখ।
এদিনের এই সম্মেলনে এসে পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারণে অল্প সময়ের জন্য বক্তব্য রাখেন রাজীব ভট্টাচার্য ও সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী প্রথমেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সিপিআই(এম) এর মিতালীকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এরাজ্যে কংগ্রেসকর্মীরা দীর্ঘ বছর ধরে সিপিআই(এম) দলের সাথে লড়াই করে আসছে। এই লড়াই সংগ্রামের ফলে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে। রাজ্যে বহু নারী ধর্ষিতা হয়েছে। এবার সেই কংগ্রেস, সিপিআই(এম) দলের সাথে ঘাট বেঁধে বিজেপি দলকে পরাস্ত করতে চাইছে। তিনি বলেন, রাজ্যে বাম কংগ্রেস জোট খাতা খুলতে পারবেনা। আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ এ ৬০ আসন দখল করবে বিজেপি। বিগত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস জোট করে গো হারা হেরেছে। এবার ত্রিপুরায় একই অবস্থা হবে তাদের।
তিনি বলেন, বর্তমান বিজেপি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশের মন্ত্র নিয়ে রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। বিগত পাঁচ বছরে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের একবার তিন শতাংশ, এরপর পাঁচ শতাংশ এবার বারো শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করে মোট কুড়ি শতাংশ দিয়ে এই রাজ্যের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও রাজ্যের মানুষের জন্য বহু উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে এবং আগামীতেও করা হবে। তিনি সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস দলের এই জোটকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার আহবান রাখেন।
ঠিক একই ভাবে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস দলকে আক্রমণ করেন রাজীব ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, বাম আমলে যখন তিনি ধর্মনগরে আসতেন তখন ধর্মনগর কংগ্রেস ভবনের সামনে বাম শাসনের অবসান আর মাত্র পাঁচ টা দিন, চারটা দিন বাকি লেখা দেখতেন। নির্বাচনে হারার পর কংগ্রেস দলের নেতাদের আর খোঁজে পাওয়া যেতো না। তখন কংগ্রেস কর্মীদের উপর বাড়ি বাড়ি হামলা হতো। তাই তিনি রাজ্যের মানুষকে আহবান জানান, সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস দলের ইলু ইলু থেকে দুরে থাকার জন্য।
এদিন সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস দল ছেড়ে চারশো পরিবারের তিন হাজার দুইশ ভোটার বিজেপি দলে সামিল হয়েছেন বলে ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন জানিয়েছেন। তাদের দলে বরন করেন উপস্থিত রাজ্য নেতৃত্ব সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা।